ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদেশিদের জন্য ৩ স্তরের নিরাপত্তা


প্রকাশিত: ০৫:০৩ এএম, ০৬ অক্টোবর ২০১৫

সম্প্রতি ঢাকা ও রংপুরে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আশুগঞ্জে রাষ্ট্রীয় সাতটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নিয়োজিত দুই শতাধিক বিদেশি নাগরিকের সার্বিক নিরাপত্তার পাশাপাশি বিদেশিদের কর্মস্থল ও বাসস্থানের এলাকায় বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।

জানা যায়, আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণাধীন চারটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, আশুগঞ্জ গ্যাস কম্প্রেসার স্টেশন ও মেঘনা নদীতে দ্বিতীয় ভৈরর রেলসেতু নির্মাণ প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্পে কোরিয়া, জাপান, স্পেন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন, উগান্ডা, শ্রীলংকা ও ভারতসহ ১০টি দেশের দুই শতাধিক নাগরিক কর্মরত রয়েছেন। ঢাকায় ইতালিয়ান ও রংপুরে জাপানি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এসব বিদেশিরা আতঙ্কিত না হলেও কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন তারা।

স্পেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএসকের স্থানীয় ব্যবস্থাপক খাবিয়ার সিয়েরা জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের সার্বিক নিরাপত্তার খোঁজ-খবর নিচ্ছে। এর ফলে তাদের আতঙ্ক অনেকটাই কমে গেছে। তবে দুই বিদেশি নাগরিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে রয়েছেন তারা।

B.baria

এদিকে ইতালি ও জাাপানি নাগরিক হত্যকাণ্ডের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক গত শনিবার সন্ধ্যায় আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে উল্লেখিত প্রকল্পের প্রধান ও কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বৈঠক করেন।

বৈঠকে বিদেশি নাগরিকদেরকে সাবধানতার সঙ্গে চলাফেরা করতে, রিকশায় না চড়া, একা বের না হওয়া বা প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহরিয়ার আল মামুন জাগো নিউজকে জানান, আশুগঞ্জে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জন্য তিন স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আজিজুল আলম সঞ্চয়/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।