দাবি না মানলে আবারো আন্দোলনে যাবে পদবঞ্চিতরা
বিএনপির হাইকমান্ডের ‘আশ্বাসে’ কিছুদিনের জন্য বিরতি দিলেও দাবি না মানলে আবারো আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ছাত্রদলের বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা।
রোববার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে সোমবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোনো সমাধান না হলে মঙ্গলবার থেকে জোরালো আন্দোলনে নামবেন তারা।
গত ১৪ অক্টোবর রাজিব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই ওই কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ জানিয়ে আসছে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
একই সঙ্গে তারা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি তোলেন।
এ ইস্যুতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে ১৯ অক্টোবর সংঘর্ষ ও কার্যালয় ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি বিবেচনায় কোন্দল মেটাতে দলের হাইকমান্ড স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস ও যুবদল সভাপতি মেয়াজ্জেম হোসেন আলালকে দায়িত্ব দেন।
এর ধারাবাহিকতায় গত ২১ অক্টোবর ছাত্রদলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে মির্জা আব্বাস তার শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক করলেও তাতে কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। দেড় ঘণ্টার ওই বৈঠকের পর মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওরা পদবঞ্চিতও নয়, বিদ্রোহীও নয়। ওদের সঙ্গে ছাত্রদলের নেতাদের মতের অমিল হয়েছে মাত্র। তারা সেই কথাগুলো বলতে এসেছিল, আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি। তাদের বক্তব্যগুলো আমি নেত্রীকে জানাব।’
তবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নীলফামারী সফরের কারনে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। সেখান থেকে ফিরে আসার পরও কোন সমাধান না আসায় হতাশ হন বৈঠকে অংশ নেওয়া ওইসব নেতা। এ অবস্থায় পরবর্তী করণীয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় বৈঠকে বসেন ছাত্রদলের এসব নেতা।