পর্দা নামলো সাউথ এশিয়ান গেমসের

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৩০ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৯

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১৩তম আসরের পর্দা নেমেছে মঙ্গলবার। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দসরথ স্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে ১০ দিনব্যাপী এই ক্রীড়াযজ্ঞ।

এবার হিমালয়ের দেশ নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় হয়েছে এসএ গেমস। ২৬ ডিসিপ্লিনের মধ্যে বাংলাদেশ অংশ নিয়েছে ২৫টিতে। এর মধ্যে ৬ ডিসিপ্লিন থেকে বাংলাদেশের এসেছে স্বর্ণ পদক।

এবারের গেমস বাংলাদেশের জন্য স্মরণীয়। কারণ, এবার বাংলাদেশ সাফল্যে ছড়িয়ে গেছে অতীত। ২০১০ সালে ঢাকা এসএ গেমসে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ ১৮ স্বর্ণ পদক জিতেছিল। এবার ১৯টি। ৩৩টি রৌপ্য ও ৯০ টি ব্রোঞ্জসহ গেমসে বাংলাদেশের মোট পদক ১৪২টি।

অবস্থানগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ ৭ দেশের মধ্যে পঞ্চম। শীর্ষে ভারত, দ্বিতীয় নেপাল, তৃতীয় শ্রীলংকা ও চতুর্থ পাকিস্তান। বাংলাদেশের নিচে থাকা দুই দেশের মধ্যে মালদ্বীপ পেয়েছে একটি স্বর্ণ। স্বর্ণের মুখ দেখেনি ভুটান।

jagonews24

বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ১০ স্বর্ণ জিতেছে আরচারিতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ স্বর্ণ পদক কারাতে থেকে, দুটি করে স্বর্ণ পদক ভারোত্তোলন ও ক্রিকেটে এবং একটি করে তায়কোয়ানদো ও ফেন্সিংয়ে।

বাংলাদেশ ২৫ ডিসিপ্লিনে অংশ নিয়ে ৫টিতে কোনো পদকই পায়নি। ব্যর্থ এই ফেডারেশনগুলো হলো- স্কোয়াশ, টেনিস, ভলিবল, বাস্কেটবল ও সাইক্লিং।

২০১৬ সালে আগের আসরে বাংলাদেশ ৪ স্বর্ণ জিতেছিল। এর মধ্যে দুই ডিসিপ্লিন সাঁতার ও শ্যুটিং এবার স্বর্ণ ধরে রাখতে পারেনি। ভারোত্তোলনে মাবিয়া আক্তার সীমান্ত তার শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন। এবার এ ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ একটি বেড়েছে।

গেমসের শেষ দিনে ফুটবলের স্বর্ণ পদকের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভুটান ও স্বাগতিক নেপাল। নেপাল ২-১ গোলে ফাইনাল জিতে ধরে রেখেছে ফুটবলের স্বর্ণ। গুয়াহাটিতে তারা ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতেছিল। ফুটবলে এটি নেপালের এসএ গেমস ফুটবলে চতুর্থ স্বর্ণ, যা পাকিস্তানের সাথে যৌথভাবে সর্বোচ্চ।

এক নজরে তেরতম এসএ গেমসে বাংলাদেশের পদক

স্বর্ণ : ১৯, রৌপ্য : ৩৩, ব্রোঞ্জ : ৯০, মোট : ১৪২

আরআই/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।