রেকর্ড সাফল্যের বছরে স্বর্ণশূন্য শুটিং-সাঁতার
গুলশানে আলীশান কমপ্লেক্স। অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা পূর্ণাঙ্গ। বাংলাদেশের শুটিংয়ে কোনো ঘাটতি নেই বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্ট সবাই। সুযোগ-সুবিধার দিক দিয়ে পিছিয়ে নেই দেশের সাঁতারও। মিরপুরে রয়েছে পূর্ণাঙ্গ সুইমিং কমপ্লেক্স। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে আরেকটি। দুই ভেন্যুতে সুইমিং ফেডারেশনের রাজত্ব।
এত কিছু থাকার পরও এই দুই খেলায় ভরাডুবি হয়েছে এবার সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে। স্বর্ণ ছাড়াই নেপাল থেকে দেশে ফিরেছেন শুটার ও সাঁতারুরা।
শুটিং ও সাঁতার এসএ গেমসের এমন এক আসরে ব্যর্থ হয়েছে যে বছর স্বর্ণ জয়ে রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। ১৯ স্বর্ণ জিতে বাংলাদেশের ক্রীড়াবিদরা দেশকে নিয়ে গেছেন নতুন উচ্চতায়। ২০১০ সালে আগের সর্বোচ্চ ১৮ স্বর্ণজয়ের গৌরব ছড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় এখন নতুন পরিচয়ে বাংলাদেশ। যদিও ৭ দেশের এই গেমসে বাংলাদেশের অবস্থান সেই পাঁচেই। পেছনে কেবল মালদ্বীপ ও ভুটান।
২০১৬ সালে ভারতের গুয়াহাটি ও শিলংয়ে অনুষ্ঠিত আগের এসএ গেমসে বাংলাদেশের জেতা চার স্বর্ণের তিনটিই এসেছিল সাঁতার-শুটিং থেকে। এর মধ্যে জোড়া স্বর্ণ জিতেছিলেন নারী সাঁতারু মাহফুজা খাতুন শিলা এবং একটি শুটার শাকিল আহমেদ। এই দুইজনের মধ্যে এবার শিলা খেলেননি গেমসে। শাকিল অংশ নিয়েও ধরে রাখতে পারেনি আগের সাফল্য।
তবে শাকিল আহমেদ ২০১৬ সালে যে ইভেন্টে স্বর্ণ জিতেছিলেন সেই ৫০ মিটার এয়ার পিস্তলের ইভেন্ট ছিলই না এবার। শাকিল খেলেছেন ১০মিটার এয়ার পিস্তলে। শ্যুটিং থেকে কোনো স্বর্ণ না এলেও ২০১৬ সালে স্বর্ণজয়ী এই শুটার বলেন, ‘কোনো স্বর্ণ না এলেও শুটিংয়ের সার্বিক ফলাফল ভালো। আমরা খুশি, ফেডারেশনও খুশি।’
এবার ২০ জন শ্যুটার অংশ নিয়েছিলেন কাঠমান্ডু-পোখারা এসএ গেমসে। অর্জন ৬ রৌপ্য ও ৪ ব্রোঞ্জ পদক। ২২ জন সাঁতারু এবার এসএ গেমসে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের। সর্বসাকুল্যে পদক এসেছে ৩ রৌপ্য ও ৯ ব্রোঞ্জ। গত আসরে পদক ছিল ২ স্বর্ণ ১৫ ব্রোঞ্জ।
গেমসে স্বর্ণশূন্য থাকা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা বদরুল সাইফ বলেছেন, ‘আমরা আগেই বলেছিলাম সাঁতারে যখন রমরমা অবস্থা ছিল তখনো নেপালে গোল্ড পাওয়া যায়নি। ওখানে দুটি সমস্যা ছিল। এক. উচ্চতা এবং দুই. পুলের সাইজ। আমাদের সাঁতারুরা অনুশীলন করেছেন ৫০ মিটার পুলে। ওখানে খেলা হয়েছে ২৫ মিটার পুলে। তবে আমাদের সাঁতারুদের পারফরম্যান্স খারাপ নয়। টাইমিং ভালো করেছেন। সেরাটাই দিয়েছেন সবাই। আমার কাছে পারফরম্যান্স ভালোই মনে হয়েছে।’
আরআই/আইএইচএস/এমকেএইচ