পাকিস্তানকে হারিয়ে তৃতীয় স্বর্ণ জিতল বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:১৪ পিএম, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯

চলতি দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের (এসএ গেমস) তৃতীয় দিনে এরই মধ্যে দুটি স্বর্ণ জিতে নিল বাংলাদেশ। দুটি স্বর্ণই এসেছে কারাতে ইভেন্ট থেকে। কাকতালীয় বিষয় হলো, দুটি ইভেন্টের ফাইনালেই পাকিস্তানের প্রতিযোগীদের হারিয়েছেন বাংলাদেশের কারাতেকারা। সবমিলিয়ে বাংলাদেশের স্বর্ণপদকের সংখ্যা এখন ৩।

মেয়েদের কুমিতে অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজির ফাইনালে পাকিস্তানের কউসার সানাকে ৪-৩ পয়েন্টে হারিয়ে দিনের দ্বিতীয় স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছেন মারজানা আক্তার পিয়া। সেমিফাইনালে তিনি নেপালের মানিশ চৌধুরীকে ২-১ পয়েন্টে হারিয়ে ফাইনালে ওঠেন।

মারজানা পিয়ার আগে আজ (মঙ্গলবার) দিনের প্রথম স্বর্ণ পদক জিতেছিলেন কুমিল্লার মোহাম্মদ আল আমিন ইসলাম। কারাতে ডিসিপ্লিনে পুরুষ বিভাগে অনূর্ধ্ব-৬০ কেজি শ্রেণিতে পাকিস্তানের প্রতিযোগীকে হারিয়ে সোনালি সাফল্য পেয়েছেন আল আমিন।

ফাইনালে পাকিস্তানের জাফরকে ৭-৩ পয়েন্টে হারিয়ে সোনার পদক নিশ্চিত করেন আল আমিন ইসলাম। সেমিফাইনালে নেপালের প্রতিযোগীকে ৭-৪ ব্যবধানে হারান তিনি।

গতকাল (সোমবার) আসরের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে প্রথম স্বর্ণ উপহার দেন দিপু চাকমা। তায়কোয়ান্দো ডিসিপ্লিনে ছেলেদের একক পুমসায় ঊর্ধ্ব-২৯ শ্রেণিতে ভারতের প্রতিযোগীকে হারিয়ে সোনার হাসি হাসেন রাঙামাটির দিপু। সে সঙ্গে স্বর্ণের তালিকায়ও নাম উঠে যায় বাংলাদেশের।

আজ আল আমিন কারাতে ডিসিপ্লিনে স্বর্ণ জিতলেও, গেমসের দ্বিতীয় দিনে কারাতের দুটি ইভেন্টে স্বর্ণের লড়াইয়ে হেরে যান বাংলাদেশের কারাতেকারা। যার ফলে বাংলাদেশ পায় দুটি রৌপ্য। পুরুষ একক কুমি অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে মোস্তাফা কামাল ও মেয়েদের একক কুমি অনূর্ধ্ব-৫৫ কেজিতে মাউনজেরা বর্ণা রৌপ্যপদক জেতেন।

এর আগে মেয়েদের একক কাতা ইভেন্ট থেকে দেশকে প্রথম পদক (ব্রোঞ্জ) এনে দেন হোমায়রা আক্তার অন্তরা। ছেলেদের একক কাতায় ব্রোঞ্জ জেতেন হাসান খান সান।

ছেলে ও মেয়েদের দলীয় কাতা থেকেও ব্রোঞ্জ পেয়েছে বাংলাদেশ। পুরুষ অনূর্ধ্ব-৮৪ কেজি কুমিতে মোহাম্মদ রমজান, +৮৪ কেজিতে আতিকুর রহমান, মেয়েদের অনূর্ধ্ব-৫০ কেজিতে ফাহমিদা আক্তার ব্রোঞ্জ পেয়েছেন।

আরআই/এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।