বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপিত
আগামী বছরকে পর্যটন বর্ষ ঘোষণা করে বাংলাদেশেও উদযাপিত হলো `আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস`। দিবসটি উপলক্ষে বিটিবি রাজধানীর মৎস্য ভবন থেকে টিএসসি পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করে। এতে অংশ নেয় নবগঠিত ট্যুরিস্ট পুলিশ, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন, বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন, অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ এবং এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট অব বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড (বিটিবি) ২০১৬ সালে দেশে ১০ লাখ পর্যটকের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
র্যালি শেষে পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, এ বছর এ পর্যন্ত বাংলাদেশে পর্যটক ছিল প্রায় পাঁচ লাখ আর আগামী বছর এর লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১০ লাখ। এ উপলক্ষে ‘ভিজিট বাংলাদেশ-২০১৬’ নামক একটি ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
র্যালি শেষে মন্ত্রী মেনন আরো বলেন, ‘এ বছর বিশ্ব পর্যটন দিবস বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে আগামী ২০১৬ সালকে পর্যটন বর্ষ হিসেবে অবহিত করেছেন।
দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার সৈকতে এ বছর ৩১ ডিসেম্বর থেকে পর্যটন বর্ষের প্রচারণা শুরু করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সরকার পর্যটন বর্ষ-২০১৬ প্রচারাভিযান সফল করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, নববর্ষ এবং বিজয় দিবস-২০১৬ পর্যটন বান্ধব করে উদযাপন করবে। পর্যটন বর্ষের শুরুতে বাংলাদেশে বৌদ্ধ ধর্মের ঐতিহ্য তুলে ধরে বিশ্বের ১৩টি বৌদ্ধ ধর্মের দেশ নিয়ে রাজধানীতে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে সরকার একটি দুই দিনব্যাপী ‘জাতীয় বৌদ্ধ কর্মশালা এবং আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ কন্ফারেন্স’ আয়োজন করবে।
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্বের দিক থেকে পর্যটনের গুরুত্ব তুলে ধরে জাতিসংঘ প্রদত্ত বিশ্ব ট্যুরিজম বোর্ড এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হিসেবে উল্লেখ করা হয় ‘১০০ কোটি পর্যটক ১০০ কোটি সুযোগ’।
এবারের পর্যটন দিবসের মূল লক্ষ্যটি ২০১৫ সালের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এতে পর্যটনকে একটি ‘কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি এবং আঞ্চলিক সংস্কৃতি ও পণ্য উন্নয়ন’ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বিটিবি এবং ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (এনটিও) দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
র্যালিটির সার্বিক সমন্বয় করেন বিটিবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান খান কবির এবং এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিপিসি’র চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী।
আরএস/পিআর