ফুটবল ছেড়ে রুমকি এখন উচ্চলম্ফে রেকর্ডকন্যা
দুই বছর আগেও ফুটবল মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন উম্মে হাফসা রুমকি। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের হয়ে দেশের বাইরেও খেলেছেন সিরাজগঞ্জের এ যুবতী। অ্যাথলেটিকস ও ফুটবল পাশাপাশিই খেলতেন। কিন্তু দুই বছর হলো ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন অ্যাথলেটিকসে। সেই রুমকিই উচ্চলম্ফে ভাঙলেন ১৫ বছরের পুরোনো রেকর্ড।
উচ্চতা ৫ ফুট সাড়ে ৭ ইঞ্চি। লিকলিকে দেহ। দেখলে মনে হবে বাতাসের বাড়ি খেয়েই পড়ে যাবেন। কিন্তু ১৮ বছরের রুমকি যেন বাতাস কেটেই লাফান। আজ (শুক্রবার) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পনেরতম জাতীয় সামার অ্যাথলেটিকসে মেয়েদের উচ্চলম্ফে ১.৬৮ মিটার লাফিয়ে স্বর্ণ জিতেছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়ে।
জাতীয় ও সামার মিলে রুমকি ষষ্ঠবার খেললেন উচ্চলম্ফে। প্রথম তিনবার পেয়েছিলেন একটি সিলভার ও দুটি ব্রোঞ্জ। সর্বশেষ তিনবার স্বর্ণ। ২০১৮ সালে সামারে রুমকি প্রথম স্বর্ণ জেতেন ১.৬২ মিটার লাফিয়ে। এ বছর জানুয়ারিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ ধরে রাখেন ১.৬৫ মিটার লাফিয়ে। স্বর্ণজয়ের হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন তিনি নতুন জাতীয় রেকর্ডসহ।
রুমকি ভেঙ্গেছেন ২০০৪ সালে সাথী পারভীনের গড়া রেকর্ড। সাথীর রেকর্ড ছিল ১.৬৬ মিটার। নতুন রেকর্ড গড়া রুমকি এখন দেশের গন্ডি পেরিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা হতে চান। কাজটি কঠিন হলেও হাল ছাড়তে নারাজ সিরজিগঞ্জের এ যুবতী। দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা হতে হলে ভারতীয় অ্যাথলেটদের টপকাতে হবে। সেটা জানেন রুমকি। তাইতো ভারতের অ্যাথলেটদের খোঁজখবরও রাখছেন।
আজই (শুক্রবার) ভারতের উত্তর প্রদেশের উত্তর প্রদেশে শেষ হয়েছে দেশটির জাতীয় অ্যাথলেটিকস। সেখানে মেয়েদের উচ্চলম্ফে স্বর্ণ পাওয়া কেরালার মেয়ে লিবিয়া সাজি লাফিয়েছেন ১.৭৬ মিটার। রৌপ্য পাওয়া কেরালার আরেক মেয়ে আথিরা সোমারাজ লাফিয়েছেন ১.৭৬ মিটার এবং ব্রোঞ্জ পাওয়া আসামের মেয়ে লাইমুন লারজার লাফিয়েছেন ১.৭৩ মিটার। ভারতের তৃতীয় হওয়া মেয়েটি বাংলাদেশের প্রথম হওয়া রুমকির চেয়ে লাফিয়েছেন ০.০৫ মিটার বেশি।
ভারতের মেয়েদের পারফরম্যান্স উল্লেখ করে রুমকি বলেছেন, ‘ফেডারেশন বলেছে আমাকে আরো সুযোগ-সুবিধা দেবে। আমি যদি চেষ্টা করি তাহলে আরো বেশি উচ্চতা লাফাতে পারবো। তাই আমার বিশ্বাস এভাবে পারফরম্যান্স ওপরের দিকে নিতে পারলে দক্ষিণ এশিয়ায় ভালো কিছু করা অসম্ভব নয়। এখন আমার চোখ সাউথ এশিয়ান গেমসে ভালো করা।’
আরআই/এমএমআর/এমকেএইচ