অনূর্ধ্ব-২১ জাতীয় হকি ক্যাম্পে দুই ভাইবোন

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:৩৮ পিএম, ২২ আগস্ট ২০১৯

‘ওই যে মাঠের পূর্ব পাশে দেখছেন না লাল গেঞ্জি পরা ও আমার ভাই’ মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামের টার্ফের দক্ষিণ কোনায় দাঁড়িয়ে দেখাচ্ছিলেন অনূর্ধ্ব-২১ নারী হকি দলের সদস্য ফারদিয়া আক্তার রাত্রী। বিকেলে মাঠের পাশে যখন নারী হকি দল প্রস্তুতিতে নামার অপেক্ষায় তখন পুরুষ অনূর্ধ্ব-২১ দলের অনুশীলনের শেষ সময়।

ঘড়ির কাঁটায় বিকেল ৫টা বাজলেই ছেলেরা অনুশীলন শেষ করে মাঠ ছেড়ে দেবেন মেয়েদের। সেই অপেক্ষার কয়েক মিনিটে রাত্রীর হকিতে আসার গল্প শোনার সময়ই তিনি বলছিলেন আমার ভাইও আছে ক্যাম্পে। পুরো নাম রাকিবুল হাসান রকি।

রকি বিকেএসপির ছাত্র। ভর্তি হয়েছেন ২০১৭ সালে। রাত্রী কিশোরগঞ্জ সিটি কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। দুই ভাইবোনই এখন জাতীয় হকি ক্যাম্পে। মেয়েদের এই ক্যাম্প চলছে আগামী মাসে সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিতব্য নারী এএইচএফ অনূর্ধ্ব-২১ টুর্নামেন্টের জন্য। ছেলেদের প্রস্তুত করা হচ্ছে আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জুনিয়র এশিয়া কাপের জন্য।

কিশোরগঞ্জ সদরের মনজিল মিয়া আর সালেহা খাতুন দম্পতির ছয় সন্তান। রাত্রী সবার ছোট। তাদের একমাত্র ছেলে রকি সন্তানদের মধ্যে পঞ্চম। তাদের ছোট দুই সন্তানই এখন লাল-সবজু জার্সিতে মুগ্ধতা ছড়াতে চান হকি স্টিক হাতে। এই হকির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আছেন রকি-রাত্রীর আরেক বোন রিনা চৌধুরী। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় রিনা নারী হকে দলের ক্যাম্পে অফিশিয়াল হিসেবে।

রকি ও রাত্রী দুজনই খেলেন মিডফিল্ডে। রকি বিকেএসপির ছাত্র বিধায় বোনের চেয়ে দক্ষতা বেশি। তবে বোন রাত্রীর খেলার প্রশংসা করে রকি বলেন, ‘সে ভালো খেলে। নতুন হিসেবে তার খেলার বেসিক অনেক ভালো।’ দুজনই হকিকে বেশি উপভোগ করছেন। তাদের প্রত্যাশা ভালো খেলোয়াড় হয়ে জাতীয় দলে সুযোগ করে নেয়া এবং দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনা।

আরআই/এসএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।