ভারতীয় মেয়েদের কাছে আধা ডজন গোল খেলো বাংলাদেশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:০৮ পিএম, ২০ আগস্ট ২০১৯

ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ নারী হকি দলের অন্যতম খেলোয়াড় সাদিয়া খাতুন বলেছিলেন, ভারতের মেয়েদের সঙ্গে তারা লড়াই করতে চান।

কিন্তু ভারতের সাই (স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া) একাডেমির যে মেয়েরা ৩ বছর ধরে অনুশীলন করছেন, ৩ মাসের প্রস্তুতিতে তাদের মোকাবিলা করা যে সহজ নয়, তা ৬ ম্যাচ সিরিজের প্রথম খেলায় টের পেয়েছেন বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ (মঙ্গলবার) মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে স্বাগতিকদের ৬-০ গোলে হারিয়েছে ভারতের মেয়েরা।

গত বছর নভেম্বরে কলকাতা ওয়ারিয়র্স নামে ভারতের মেয়েদের একটি দল ৩ ম্যাচে ম্যাচের সিরিজ খেলেছিল ঢাকায়। ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে সাই একাডেমির এই দলটি অনেক শক্তিশালী।

ম্যাচের পর বাংলাদেশের মেয়েদের সহকারী কোচ হেদায়েতুল ইসলাম রাজিব বলেছেন, ‘কলকাতার দলটি আসলে তেমন মানের ছিল না। এই দলটি অনেক শক্তিশালী। এমন কি আমরা সিঙ্গাপুর গিয়ে যে দলগুলোর বিরুদ্ধে খেলবো, তার চেয়েও কঠিন। এতটা চাপে আমাদের মেয়েরা আগে কখনো খেলেনি। খেলতে খেলতে চাপটা কাটিয়ে উঠতে পারবে। তাই এই সিরিজ খেলাটা ভালোই হবে আমাদের জন্য।’

কিন্তু ৬ গোলের হারটা বেশি হয়ে গেলো না? ‘না না। হকিতে ৬ গোল কোনো ব্যপারই না। আমি মনে করি আমাদের মেয়েরা ভাল খেলেছে। বিশেষ করে শেষ দুই কোয়ার্টারে। এটা মানতেই হবে যে, আমাদের চেয়ে ভারতের মেয়েদের শক্তি বেশি। আশা করি, ম্যাচ খেলতে খেলতে আরো ভালো হবে আমাদের পারফরম্যান্স’-বলেন রাজিব।

শুরু থেকেই বাংলাদেশকে চেপে ধরে ভারতের মেয়েরা। প্রস্তুতি, অভিজ্ঞতা আর সামর্থ্যে তারা যে এগিয়ে সেটা বোঝাতে থাকে প্রথম মিনিট থেকেই। প্রথম কোয়ার্টারে, অর্থাৎ ১৫ মিনিটে ৭ সাতটি পেনাল্টি কর্নার আদায় করে নেয় সফরকারি মেয়েরা। যদিও সবগুলো ঠেকিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা পার করে দেয় প্রথম কোয়ার্টার। ৮ পেনাল্টি কর্নারে গোল করতে ব্যর্থ ভারতের মেয়েরা প্রথম সাফল্য পান দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুতে পেনাল্টি স্ট্রোক থেকে।

সব মিলিয়ে গোটাদশেক পেনাল্টি কর্নার পেয়েও ভারত তা কাজে লাগাতে না পারা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ কোচ রাজিব বলেন, ‘ভারত পেনাল্টি কর্নারে গোল করতে পারদর্শী বলে আমরা কয়েকদিন এটা নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের মেয়েরা পেনাল্টি কর্নারগুলো ভালোভাবে সামলিয়েছেন। ভালো রাশ করেছেন। গোলরক্ষকও ভালো সেভ করেছেন।’

দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নমিতা কর্মকার গত বছর কলকাতার বিরুদ্ধে সিরিজও খেলেছিলেন। সাই একাডেমির বিরুদ্ধে ম্যাচের পর নমিতা বলেন, ‘এ দলটি আমাদের চেয়ে অনেক ভালো। আমরা দীর্ঘ সময় ক্যাম্প করতে পারলে আরো চেষ্টা করতে পারতাম। কোচ আমাদের বলেছিলেন, হারো-জিতো যাই করো নিজেদের খেলাটা ধরে রাখার চেষ্টা করবা। আমরা সেটাই করেছি। আশা করি পরের ম্যাচগুলো আরো ভালো হবে।’

আরআই/এমএমআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।