শেষ দিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় অ্যাশেজ টেস্ট
এই না হলে অ্যাশেজ! ক্ষণে ক্ষণে যার রং বদলায়। প্রথম ইনিংসে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া হার এড়াতে পারবে কিনা, টেস্টের একটা সময় এটা নিয়েই তৈরি হয়েছিল সংশয়। সেই অস্ট্রেলিয়াই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে অ্যাশেজ টেস্ট জমিয়ে দিলো। চতুর্থ দিন শেষে যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে অজিরা, তাতে হারের সম্ভাবনা নেই মোটা দাগে লিখে দেয়াই যায়। বরং জয়ের জন্য শেষ দিনে লড়তে পারে কোমড় বেঁধে।
প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরি, সঙ্গে আবার যোগ হয়েছেন ম্যাথ্যু ওয়েড। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ৪৮৭ রানের পাহাড় গড়ে ছেড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে ইংল্যান্ডের সামনে চতুর্থ ইনিংসে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৯৮ রানের। চতুর্থ দিন শেষে বিনা উইকেটে ১৩ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। জিততে হলে পঞ্চম ও শেষদিনে করতে হবে আরও ৩৮৫ রান, আপাতদৃষ্টিতে যেটাকে অসম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।
অথচ প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল অসিরা। ক্যামেরন বেনক্রফট ৭ এবং ডেভিড ওয়ার্নার আউট হন ৮ রান করে। এরপর উসমান খাজা এবং স্টিভেন স্মিথ মিলে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। এরপর স্টিভেন স্মিথ দাঁড়িয়ে যান ইংলিশ বোলারদের সামনে। স্মিথ আর ট্রাভিস হেড মিলে গড়েন ১৩০ রানের জুটি।
১১৬ বলে ৫১ রান করে আউট হয়ে গেলে স্মিথ আর ম্যাথ্যু ওয়েড মিলে জুটি গড়েন। এ দু’জনের ব্যাটে গড়ে ওঠে ১২৬ রানের জুটি। এরই ফাঁকে ২৫তম সেঞ্চুরি করে ফেলেন স্মিথ। প্রথম ইনিংসে ১৪৪ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪২ রানে আউট হন তিনি।
ম্যাথ্যু ওয়েডও সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছে যান। ১৪৩ বলে তিনি আউট হন ১১০ রান করে। টিম পেইন আউট হন ৩৪ রান করে। এরপর লোয়ার অর্ডারের জেমস প্যাটিনসন আর প্যাট কামিন্সও দারুণ ব্যাটিং করেছেন। প্যাটিনসন ৪৭ আর কামিন্স ২৬ রানে অপরাজিত থাকা অবস্থায়ই ইনিংস ঘোষণা করে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেইন।
ইংল্যান্ডের পক্ষে বেন স্টোকস ৩টি আর মঈন আলি নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট শিকার স্টুয়ার্ট ব্রড আর ক্রিস ওকসের।
দিনের শেষ বেলায় জবাব দিতে নেমে কোনো বিপদ ছাড়াই ৭ ওভার কাটিয়ে দিয়েছেন ইংলিশ দুই ওপেনার ররি বার্নস আর জেসন রয়। বার্নস ৭ আর রয় ৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনে ব্যাটিংয়ে নামবেন।
এমএমআর/পিআর