ফাঁস করা প্রশ্নপত্র ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি
প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে বলে জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
শনিবার ও রোববার রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ৭ জনকে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোমবার এসব কথা বলেন তিনি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিয়ামুল হাসান ওরফে সৈকত, হারুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন, রমযান আলী, রুবেল আহম্মেদ, জসিম সিকদার ওরফে রানা ও আকবর হোসেন। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সিভিল পরীক্ষার হুবহু প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র, পরীক্ষার প্রবেশপত্রসহ পঞ্চাশ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম বলেন, চক্রের মূল হোতা দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে জসিম সিকদার ওরফে রানা সর্বনিম্ন দুই লাখ টাকায় প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করে।
তিনি বলেন, জসিম সিকদার একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি ডাক বিভাগে কর্মরত। আকবর হোসেন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) এমএলএসএস পদে কর্মরত। এই দুই কর্মকর্তাই এ চক্রের প্রধান। এছাড়া এদের সহায়ক নিয়ামুল হাসান ওরফে সৈকত, হারুন অর রশিদ ও দেলোয়ার হোসেন ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষা দিতো।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এই তিন ভূয়া পরীক্ষার্থীকে শনিবার দুপুর দুইটার দিকে শেরে বাংলা নগর বালক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয়ছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে প্রকৃত পরীক্ষার্থী রুবেল আহম্মেদ ও প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত রমযান আলীকে বিকেল ৫টার দিকে কল্যাণপুরের ওয়েস্ট পয়েন্ট হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কমিশনার বলেন, রমযান আলীর দেওয়া তথ্য মতে রাজধানীর বাংলামটর এলাকা থেকে জসিম সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে এই চক্রের মূলহোতা আকবর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে মনিরুল ইসলাম বলেন, চক্রটির মূল হোতা আকবর হোসেনের আরো একজন সহযোগী বিল্লাল হোসেন পলাতক রয়েছে। সে চট্টগ্রাম অঞ্চলের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) এমএলএসএস পদে কর্মরত।
এছাড়া এই চক্রটির সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
জেইউ/এসআইএস/পিআর