সংস্কারের ৬ মাসেই সড়কের বেহাল দশা


প্রকাশিত: ০৬:১৩ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

যশোর-ঢাকা মহাসড়কের পালবাড়ি থেকে খাজুরা স্ট্যান্ড হয়ে মুড়লি পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করার ছয় মাস যেতে না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের। ভারী পরিবহন তো দূরের কথা, ইজিবাইক পর্যন্ত চলাচল করতে পারছে না। ফলে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যশোর শহর বাইপাসের মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ পালবাড়ি থেকে খাজুরা স্ট্যান্ড-মনিহার হয়ে মুড়লি পর্যন্ত। ঢাকা রোড হিসেবে পরিচিত এই মহাসড়কের সাড়ে ৪ কিলোমিটার অংশ এখন খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। খুলনা-যশোর হয়ে ঢাকায় যাতায়াতের জন্য পরিবহনগুলো সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। গর্ত আর খানাখান্দের কারণে এই সড়কে গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

সওজ সূত্র আরো জানায়, গত বছর মহাসড়কের এই অংশটি সংস্কার করার জন্য ১৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ডিসেম্বরে এ সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ৬ মাস যেতে না যেতেই সড়কটি সেই আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও গর্তের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্ষতির শিকার হচ্ছে বড় বড় পরিবহনগুলোও।

যশোর টায়ার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি কাওছার আহমদ জাগো নিউজকে জানান, আমাদের আন্দোলনের কারণে ৬ মাস আগে সংস্কার করা হয়। কিন্তু যেন তেনভাবে সংস্কার কাজ শেষ করায় সড়কটি আগের জায়গায় ফিরে গেছে। বড় ধরনের গর্ত তৈরি হওয়ায় প্রায়ই ছোট যানবাহনগুলো রাস্তায় উল্টে যাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা আজকালের মধ্যে আবারো সড়ক সংস্কারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করব।

সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম মিন্টু জাগো নিউজকে জানান, ঢাকা রোডের পাশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখন অবস্থান করা দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড ধুলার কারণে দোকানে বসা যাচ্ছে না। পানি ছিটিয়েও ধুলা ঠেকানো যাচ্ছে না।

ঈগল পরিবহনের চালক খোকন জাগো নিউজকে জানান, ঢাকা রোড থেকে খাজুরা পর্যন্ত গাড়ি চালাতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠি। গর্তের মধ্যে চাকা পড়লে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ রাখা খুব মুশকিল হয়ে যায়। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে গাড়ির টায়ারসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হচ্ছে।

যশোর সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদি ইকবাল জাগো নিউজকে জানান, সড়কটি সংস্কার করে চালু রাখতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয় বরাদ্দ সে তুলনায় অপ্রতুল। এ কারণে নাম মাত্র অর্থে সড়ক সংকার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা হয়। ঢাকা রোডের সাড়ে ৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৫০ মিটারের মত সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে তিনি তা দ্রুত সংস্কারের কথাও জানান।

মিলন রহমান/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।