ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি : রাবিতে তিন শিক্ষার্থী বহিষ্কার


প্রকাশিত: ১২:২৮ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে তিন শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনে  ‘এফ’ ইউনিটের (অ-বিজ্ঞান গ্রুপ) পরীক্ষা চলাকালে তাদেরকে আটক করা হয়।
 
বহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- চাঁদপুরের লুৎফর রহমান, নাটোরের নাজমুল হুদা এবং রাজশাহীর দূর্গাপুরের মিজানুর রহমান।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বেলা ১১টায় দ্বিতীয় বিজ্ঞান ভবনের ৪১৬ নাম্বার কক্ষে একই বেঞ্চে বসে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে চাঁদপুর থেকে আসা লুৎফর রহমান ও নাটোরের  নাজমুল হুদা। তারা পরীক্ষা চলাকালে একে অপরের প্রশ্ন পত্র আদান-প্রদান করে। এসময় পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত শিক্ষকরা প্রশ্ন ও উত্তরপত্র (ওএমআর সিট) জমা নিয়ে তাদের পুলিশে দেয়।

এদিকে একই সময়ে ওই ভবনের ভবনের ৩৫৩ নম্বর কক্ষ থেকে রাজশাহী দূর্গাপর থেকে আসা মিজানুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর এইচএসসি পরীক্ষার মূল নিবন্ধনপত্রের ছবি পরিবর্তনের প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আটক করে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে আসা হয়।

পরে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার দিতে ক্যাম্পাসে অবস্থিত ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়।
 
এ বিষয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী মেজিস্টেট মর্তুজা আল-মুইদ বলেন, ওই তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা ভ্রাম্যমান আদালতের আওতায় পরে না। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ দেয়নি। তাই অপরাধ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তারিকুল হাসান বলেন, আটককৃতদের মধ্যে লুৎফর ও নাজমুলকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু ছবি বদল করা ওই নিবন্ধনপত্রটি মিজানুরের বলে দাবি করেছেন তার পরিবার। তাই এ বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকেও ছেড়ে দেয়া হবে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।