ঢাবিতে ব্যারিস্টার নোরা শরিফ স্বর্ণপদক প্রবর্তন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে ব্যারিস্টার নোরা শরিফ স্বর্ণপদক প্রবর্তন করা হয়েছে। এই স্বর্ণপদক প্রবর্তনের লক্ষ্যে প্রয়াত ব্যারিস্টার নোরা শরিফের স্বামী সুলতান মোহাম্মদ শরিফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন।
সোমবার সুলতান মোহাম্মদ শরিফের ভাগ্নে মোহাম্মদ মশিউর রহমান খান অনুদানের ছয় লাখ টাকার একটি চেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনের কাছে হস্তান্তর করেন।
উপাচার্য দফতরে আয়োজিত এই চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তাসলিমা মনসুর, বিভাগীয় শিক্ষক এবং দাতার আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
এই ট্রাস্ট ফান্ডের আয় থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের এলএলবি ফাইনাল পরীক্ষায় সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ‘ব্যারিস্টার নোরা শরিফ স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হবে। এছাড়া বিভাগের দু’জন অসচ্ছ্বল ও মেধাবী ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্বর্ণপদক প্রবর্তনে আর্থিক অনুদানের জন্য দাতাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, এই অনুদানের ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়ায় আরো উৎসাহিত ও মনোযোগী হবে।
উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার নোরা শরিফ ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগে শিক্ষকতা করেন। ১৯৪৩ সালের ২৩ মার্চ আয়ারল্যান্ডে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সুলতান মোহাম্মদ শরিফকে বিয়ের পর তিনি বাংলাদেশে আসেন। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
সেনা শাসনের প্রতিবাদে বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে তিনি যোগ দেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্ত করতেও তিনি কাজ করেন।
জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে তিনি সর্বদা সোচ্চার ছিলেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য তিনি বিভিন্ন চিঠিপত্র ও প্রেস বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেন। ২০১৪ সালে লন্ডনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এমএইচ/এসকেডি/বিএ