গোবিনাথনও আছেন হকি ফেডারেশনের বিবেচনায়
বাংলাদেশের হকি নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে আগামী জুলাইয়ে এশিয়ান ইনডোর টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার মধ্যে দিয়ে। থাইল্যান্ডে এই টুর্নামেন্ট হবে ১৫ থেকে ২২ জুলাই। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নতুন কমিটি প্রথমবারের মতো ইনডোর টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার আগে দলকে ভালোভাবে প্রস্তুতির ব্যবস্থা করছে। দুই সপ্তাহ আগে দল থাইল্যান্ডে পাঠানো হবে। ফেডারেশন একজন বিদেশি কোচ আনারও চেষ্টা করছে। এশিয়ান হকি ফেডারেশনের মাধ্যমে ইতিমধ্যে পোল্যান্ডের দুইজন কোচের বায়োডাটা সংগ্রহ করেছে ফেডারেশন।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ মালয়েশিয়ার ইমান গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তিও আছেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের বিবেচনায়। ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এ.কে.এম মমিনুল হক সাঈদ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, ‘এশিয়ান হকি ফেডারেশনের মাধ্যমে একজন বিদেশি কোচ পাওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের না হলে আমরা গোবিনাথনকে নিয়ে আসবো। কারণ, তারও ইনডোর হকিতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা আছে। তার অধীনে ২০১৭ সালে মালয়েশিয়া নারী দল ইনডোর এশিয়ান হকির ফাইনালে খেলেছিল।’
ফেডারেশনের সহসভাপতি আবদুর রশিদ শিকদার বলেছেন, ‘পোল্যান্ডের ২ জন কোচের বায়োডাটা পেয়েছি। তাদের বায়োডাটা নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় আমরা বসবো। দেখি এদের মধ্যে থেকে একজনকে পছন্দ করা যায় কিনা।’
মালয়েশিয়ার গোবিনাথনকে বিবেচনায় রাখা প্রসঙ্গে আবদুর রশিদ শিকদার বলেছেন, ‘গোপিনাথনকে আমরা জাতীয় দলের জন্য আনতে পারি কিনা সেটা দেখছি। তাছাড়া তার ইনডোর অভিজ্ঞতাও আছে। মালয়েশিয়ার নারী দলের দায়িত্ব পালন করেছেন। আমরা এখন কোচ নেবো যাচাই-বাছাই করেই। পোল্যান্ডের দুইজনও অনেক অভিজ্ঞ। আমরা দুটি কারণে কোচ নেবো। খেলোয়াড়দের কোচিং করানো এবং কোচদের ডেভেলপমেন্ট করা। গোবিনাথন ইনডোর না দেখলে জাতীয় দল দেখবেন।’
বাংলাদেশে আবার আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি গোবিনাথন কৃষ্ণমূর্তিও। মঙ্গলবার দুপুরে মালয়েশিয়া থেকে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কয়েকদিন আগে ফেডারেশনের নতুন সাধারণ সম্পাদক যখন এখানে এসেছিলেন, তখন তার সঙ্গে দেখা হয়েছে আমার। সৌজন্যমূলক কথাও হয়েছে। বাংলাদেশ ইনডোর হকিতে অংশ নিতে যাচ্ছে। এটা অবশ্যই ভালো। কারণ, কোথাও না কোথাও থেকে শুরুটা করতেই হবে। তারপর আস্তে আস্তে এগুতে হবে। রাতারাতি সাফল্য পাওয়ার কোনো রাস্তা নেই।’
আপনি কি আবার বাংলাদেশ হকির দায়িত্ব নিচ্ছেন? জবাবে গোবিনাথন বলেন, ‘ইনশাল্লাহ, যদি সব কিছু ঠিক থাকে তাহলে আমি আমার সেকেন্ড হোম বাংলাদেশে আসবো।’
আপনার তো ইনডোর হকিতে কোচিং করানোরও অভিজ্ঞতা আছে, তাই না? ‘হ্যাঁ। তবে বেশি না। ২০১৭ সালে আমি মালয়েশিয়া নারী হকি দলকে এশিয়ান ইনডোরের ফাইনালে তুলেছিলাম। ইনডোর হকি খুব টেকনিক্যাল খেলা। করতে করতে শিখবো এবং শিখতে শিখতেই উন্নতি করবো।’
আরআই/এমএমআর/পিআর