শিশু অপহরণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে শিশু অপহরণ করে পাচারের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও অপহৃতার মা জানান, নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের উত্তর ব্যাপারীহাট নিলুরখামার গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে রুমানা খাতুন (৯) গত ১৬ জুলাই নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে শিশুটিকে না পেয়ে গত ২০ জুলাই নাগেশ্বরী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
পরে স্থানীয় মোশারফ নামের একজনের মাধ্যমে জানতে পারেন পার্শ্ববর্তী রামখানা ইউনিয়নের নারীর ভিটা নদীরপাড় গ্রামের আনছার আলীর ছেলে সাইফুর রহমান (২২) তাকে নিয়ে গেছে। পরে টাঙ্গাইলের কাচপুর মুরগাপাড়ায় একটি চাতালে কর্মরত অবস্থায় সাইফুরের দেখা হলে তাকে রুমানার বিষয় জানতে চাওয়া হলে তিনি শিশুটিকে নিয়ে গেছেন বলে কথা স্বীকার করেন।
গত ৩১ আগস্ট সাইফুরকে সঙ্গে নিয়ে রুমানার স্বজনেরা নাগেশ্বরীতে আসার পর সে বলে পার্শ্ববর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাগলারহাট ভাঙ্গাডারা গ্রামের জনৈক এরশাদুল ওরফে রশিদুল নামের একজনের কাছে রুমানাকে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারে এরশাদুলের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুর থানার কাচপুর মুন্সিপাড়া গ্রামে। কিছুদিন থেকে এরশাদুল ভূরুঙ্গামারীতে থাকেন না।
পরে গত বুধবার সকালে বিষয়টি সন্তোষপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকুকে জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে রুমানার স্বজনসহ সাইফুরকে পাঠায়। সবকিছু জেনে শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুরকে নাগেশ্বরী থানায় হস্তান্তর করেন। ওই দিন রুমানার মা নাজমা বেগম বাদি হয়ে নাগেশ্বরী থানায় সাইফুর রহমান, তার মা শাহেরা বেগম (৫০) ও জনৈক এরশাদুলকে আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
অপহৃত শিশুটির মা নাজমা বেগম বলেন, তার স্বামী রফিকুল ইসলামসহ তার দুই ভাই কয়েক বছর থেকে টাঙ্গাইলে শাহজাহান নামের এক ব্যক্তির চাতালে কাজ করছে। এদিকে গ্রেফতারকৃত সাইফুর ও তার মা শাহেরা বেগমও টাঙ্গাইলের একই চাতালে কাজ করার সুবাদে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তখন থেকে বাড়িতে এলে দুই পরিবারের মাঝে যাতায়াত শুরু হয়। এ সুযোগে শিশু রুমানাকে অপহরণ করে সাইফুর।
নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) খাঁন মো. শাহরিয়ার জাগো নিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত সাইফুরকে আদালতৈপাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রুমানাকে অপহরণের কথা স্বীকার করেছে সে।
নাজমুল হোসেন/এসএস/পিআর