১৫ দিনেও স্বাভাবিক হয়নি ফেরি চলাচল


প্রকাশিত: ১২:৪৪ পিএম, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

গত ১৫ দিন ধরে অচল হয়ে আছে দেশের অন্যতম নৌরুট কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া। পদ্মায় নাব্যতা সংকট ও তীব্র স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এ রুট হয়ে রাজধানী ঢাকায় যাত্রীবাহী নৈশকোচ ও পণ্যবাহী পরিবহন পৌঁছাতে পারছে না। এতে করে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।

এদিকে, এ অচলাবস্থা কাটাতে পণ্যবাহী পরিবহনগুলোকে কাওড়াকান্দি-শিমুলিয়া নৌরুট পরিহার করে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া হয়ে পার হতে নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার থেকে পদ্মা সেতুর কাজে নিয়োজিত চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে কাজ শুরু করলেও কবে নাগাদ সম্পূর্ণ সচল হবে এ নৌরুট তা কেউ বলতে পারছে না।
 
কাওড়াকান্দি ঘাটের সংশ্লিষ্টরা ও আটকে পড়া ট্রাক চালকরা জানান, প্রায় ১৫/১৬দিন ধরে এই নৌরুট অচল হয়ে পড়েছে। এ রুটে চলাচলকারী ১৮টি ফেরির মধ্যে নাব্যতা সংকটের কারণে ৪টি রোরো ফেরিসহ ১৪টি ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। পদ্মা নদীতে বর্তমানে ৭ নটিক্যাল মাইল গতিতে অর্থ্যাৎ ১৪ কিলোমিটার গতিতে তীব্র স্রোত বইছে।

ফেরি সংকট থাকায় এ রুটে নারী ও শিশুদের নিয়ে যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ ও স্পিডবোটে চলাচল করছে। ঘুর্ণি স্রোতের কারণে হাজরা চ্যানেল মুখে খুব দ্রুত পলি জমাট বেঁধে যায়। অবশেষে পদ্মা সেতুর কাজ পাওয়া চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির ব্যবহৃত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ড্রেজার দিয়ে পলি খননের ব্যাপারে নৌ মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেয়। পদ্মা সেতুর শক্তিশালী ড্রেজার বুধবার থেকেই কাজ শুরু করেছে।  

যাত্রীরা জানান, নৌরুটে নাব্যতা সংকট ও স্রোতের তীব্রতা কাটিয়ে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করার দাবি জানিয়েছেন দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা।

কাওড়াকান্দি ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ চৌধুরী জাগো নিউজকে জানান, বুধবার থেকে পদ্মা সেতুর কাজ পাওয়া চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানির উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ড্রেজার দিয়ে পলি খনন কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে খনন কাজ করলে ২/৩দিন পর ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়।

একেএম নাসিরুল হক/এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।