হকির নির্বাচনে ফ্যাক্টর যে ৩০ ভোটার

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০১৯

ভোটার ৮৪ জন। প্রার্থী ৫৪। এর মধ্যে প্রতিপক্ষ দুই পরিষদের প্রার্থী ৫৩ জন। একজন নির্বাচন করছেন এককভাবে। ভোটে না দাঁড়ানোরাই মূল ফ্যাক্টর হবে হকির নির্বাচনে। দুই পক্ষের লক্ষ্যই এখন ওই ৩০ ভোটার।

হকির সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। তবে তখন ভোটের প্রয়োজন হয়নি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ৫ কাউন্সিলর নিয়ে আপত্তি করে নির্বাচন থেকে সরে গিয়েছিল এক পক্ষ। এক পক্ষ বলতে মোহামেডান নেতৃত্বাধীন গ্রুপ। আবাহনীর সমর্থিত প্যানেল ভোটে জিতেছিল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায়।

২০১৭ সালে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেও মাঝপথে বন্ধ করে দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। অবশেষে দেশের অন্যতম বড় খেলা হকি ফেডারেশনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে সোমবার; কিন্তু এ নির্বাচন নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এখানেও সরাসরি মুখোমুখি দেশের দুই বড় ক্লাব মোহামেডান ও আবাহনী।

হকি নির্বাচন হচ্ছে ২৮ পদে। সহসভাপতি ৫ পদের বিপরীতে প্রার্থী ১১ জন। সাঈদ-রশিদ পরিষদ ও সাদেক-সাজেদ পরিষদের বাইরেও একজন এককভাবে নির্বাচন করছেন সহসভাপতি পদে। তবে সবার চোখ সাধারণ সম্পাদক পদে। যে পদটির কারণে হকিতে বারবার সমস্যা তৈরি হয়েছে। হকিতে খেলার চেয়ে চেয়ারের জন্য কামড়াকামড়ি বেশি থাকে। এবারও তাই।

হকির সাধারণ সম্পাদক পদে লড়াই হচ্ছে দুই প্রজন্মের দুই সংগঠকের মধ্যে। সাবেক সাধরণ সম্পাদক ও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাউন্সিলর আবদুস সাদেকের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মোহামেডানের কাউন্সিলর একেএম মমিনুল হক সাঈদ। কে হচ্ছেন হকি ফেডারেশনের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক- সবার কৌতুহল সেদিকেই।

যারা নির্বাচন করছেন না কদরটা তাদেরই বেশি। কারণ, ভোটের হাওয়া কোন দিকে যাবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে ওই ৩০ ভোটারের ওপর। যদিও দুই পক্ষই দাবী করছে প্রতিপক্ষ প্যানেলের প্রার্থীদের ভোট কিছু পাবেন। তবে ‘প্যানেলের ভোট অন্য দিকে যাবে না’ সেটা ধরে নিলে নির্বাচনে ওই ৩০ ভোটারই হবেন জয়-পরাজয় নির্ণায়ক।

জেলা ও বিভাগের ৪০ ভোটারের মধ্যে নির্বাচন করছেন ২৩ জন। এর মধ্যে ১২ জন সাদেক-সাজেদ প্যানেলে, ১১ জন সাঈদ-রশিদ প্যানেলে। বাকি ১৭ জনের পাল্লা যেদিকে ঝুঁকবে, ভাগ্যের শিঁকে ছিড়তে পারে তাদের।

ক্লাবের ৩১ কাউন্সিলরের মধ্যে ভোটের লড়াইয়ে সাঈদ-রশিদ প্যানেলে আছেন ১৫ জন, সাদেক-সাজেদ প্যানেলে ১১ জন। বাকি ১৬ জনের বাতাস কোন দিকে গড়ায় সেটাই দেখার।

৬ টি সার্ভিসেস সংস্থার মধ্যে ভোটের মাঠে আছেন কেবল বিকেএসপির কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন। তিনি নির্বাচন করছেন সাজেদ-সদেক প্যানেলে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ৫ কাউন্সিলরের মধ্যে চারজনাই নির্বাচন করছেন। তাদের ৩ জনই সাদেক-সাজেদ প্যানেলে। একজন নির্বাচন করছেন এককভাবে সদস্য পদে।

হকির নির্বাচনে যারা প্রার্থী

সহসভাপতি
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: আবদুর রশিদ শিকদার, সৈয়দ মোস্তাক আলী মুকুল, সারওয়ার হোসেন, মাহমুদ রিবন ও নুরে আলম খোকন।

সাজেদ-সাদেক পরিষদ: সাজেদ এ এ আদেল, ড. মাহফুজুর রহমান, জাকি আহম্মেদ, মোস্তাবা জামান ও মোহাম্মদ ইউসুফ আলী।

এককভাবে: কামরুজ্জামান চৌধুরী।

সাধারণ সম্পাদক
রশিদ-সাঈদ পরিষদ : একেএম মমিনুল হক সাঈদ।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ : আবদুস সাদেক।

যুগ্ম সম্পাদক
রশিদ-সাঈদ পরিষদ : কামরুল ইসলাম কিসমত ও মোসাম্মাৎ আনোয়ারা সরকার।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ : মাহাবুবুল এহছান রানা ও মোহাম্মদ ইউসুফ।

কোষাধ্যক্ষ
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: হাজী মো. হুমায়ুন।
সাজেদ-সাদেক পরিষদ: কাজী মইনুজ্জামান পিলা ।

সদস্য
রশিদ-সাঈদ পরিষদ: খাজা তাহের লতিফ মুন্না, বদরুল ইসলাম দিপু, সাফায়াত হোসেন, মো. আসলাম, জামিল আবদুন নাসের, মোস্তাক হোসেন মোনা, কাজী শরীফ উদ্দিন আহমেদ, নুরুল ইসলাম ফারুকী, রফিকুল ইসলাম কামাল, রেজাউল করিম রিপন, শহিদ উল্লাহ টিটু, মাহফুজুল আলম, হাজী এমএ সাত্তার, মো. হোসেন মনির, মেহেদী হাসান, তারিকুজ্জামান।

সাজেদ-সাদেক পরিষদ: আনোয়ার হোসেন খান, রফিকুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী পাপ্পু, তৌফিকুর রহমান রতন, মাহবুব মোর্শেদ আলম, জাফরুল আহসান, মাহবুব হারুন, টুটুল কুমার নাগ, হারুন অর-রশিদ রিংকু, সৈয়দ তরিকুল ইসলাম শান্ত, জহিরুল ইসলাম মিতুল, জাহিদ হোসেন, সৈয়দ মাহমুদুল হক, মাহবুব মোর্শেদ আহমেদ শামীম, মামুনুর রশিদ, মোহাম্মদ ফয়সাল আহসান উল্লাহ, মো. সাফিন ভুইয়া ও মোহাম্মদ আলমগীর আলম।

আরআই/আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।