জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিরুদ্ধে বিতর্ক উস্কে দেয়ার অভিযোগ
বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বিরুদ্ধে বিতর্ক উস্কে দেয়ার অভিযোগ এনেছেন প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব মোহামেডানের কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ও উষা ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর আবদুর রশিদ শিকদার। এ দুই জনের মধ্যে সাঈদ আগামী ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
হকির নির্বাচনে সব সময়ই আলোচনায় থাকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ৫ কাউন্সিলর। আগের দুই নির্বাচনে এই কাউন্সিলর মনোয়ন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। আগে এই ৫ কাউন্সিলর মনোনয়নে হকির পৃষ্ঠপোষক ও সাবেক তারকা খেলোয়াড়দের প্রাধান্য দেয়া হলেও এখন সে রেওয়াজ ধেকে সরে এসেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এখন তালিকা হয়ে থাকে একটি পক্ষের সুবিধার্ধে। যে কারণে বিতর্ক তৈরি হয়ে থাকে এই ৫ কাউন্সিলর নিয়ে। বিতর্ক হয়েছে এবারও। এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ যে ৫ জনকে কাউন্সিলর করেছে তাদের মধ্যে ২ জনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ৫ কাউন্সিলর হচ্ছেন-ড. মাহফুজুর রহমান, মনিরুজ্জামান খান, আবদুস সাদেক, মেজর শাহাবউদ্দিন চাকলাদার (অব.) এবং মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। এর মধ্যে প্রথম দুইজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ অভিযোগ করেছেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তাদেরই কাউন্সিলর মনোনীত করে যাদের কোনো ক্লাব নেই। অথচ হকিতে তার অবদান অনেক। কিন্তু এখানে দেখলাম ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্তরা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাউন্সিলর হয়েছেন। আর ক্লাবের থেকে দিয়েছেন অন্য একজনকে। অথচ আমাদের প্রত্যাশা ছিল শীর্ষ ক্লাবগুলোর সঙ্গে বসে গ্রহণযোগ্যদেরই কাউন্সিলর করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীকে আমরা আগেই বলেছিলাম যাতে এ জায়গাটা বিতর্কমূক্ত থাকে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘হকির নির্বাচন কখনই স্বাভাবিক হয়নি। আমি চাইবো আর যেন কোনো প্রশ্ন না উঠে। সবার সঙ্গে বসে সমন্বয় করেই সব করা হবে।’
শীর্ষ ক্লাবের দুই কর্মকর্তার অভিযোগ মন্ত্রী সেটা করেননি। খসড়া কাউন্সিলর তালিকা নিয়ে আপত্তির সুযোগ আছে। তবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনীত ৫ কাউন্সিলর বাদে। তাই এই ৫ জনের মধ্যে ২/১ জনের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে আপত্তি জানাবে হকির নির্বাচনের বড় একটি অংশ।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কেন ৫ কাউন্সিলর মনোনয়ন দিতে শীর্ষ ক্লাবগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করেনি। এ বিষয়ে পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মনোনয়ন দেবে। সুতরাং পরামর্শের কোনো বিধান নাই। যেহেতু বিধান নেই, তাই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
আরআই/এমএমআর/পিআর