মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও নিয়োগ পাননি সজীব


প্রকাশিত: ০৯:০১ এএম, ২৭ আগস্ট ২০১৫

মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া সত্ত্বেও সজীব কুমার সাহা নামে এক যুবককে নিয়োগ না দিয়ে নিয়ম ভঙ্গ করে তাকে টপকে অন্যদের নিয়োগ প্রদান করার অভিযোগ উঠেছে জনতা ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। দফায় দফায় কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিয়েও নিয়োগ না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত প্রতিকার চেয়ে সজীব কুমার সাহা জনতা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জনতা ব্যাংক লিমিটেড তাদের নিজস্ব ওয়েব সাইট এবং দুটি জাতীয় দৈনিকে `এক্সিকিউটিভ অফিসার` পদে ১১,০০০-২০,৩৭০/= টাকা স্কেলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সে মোতাবেক ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৬৬৫ জনকে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করে এবং ৪৪৭ জনকে তাদের প্যানেলভুক্ত করে। এছাড়া আরো ৯৩৪ জন প্রার্থীসহ ২০৪৬ জনকে মেধা তালিকাভুক্ত করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

পরবর্তীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ পল্লী অঞ্চলে অবস্থিত কৃষি ঋণ সম্পৃক্ত শাখা সমূহের কৃষি ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জরুরি ভিত্তিতে জনবল আবশ্যক হিসেবে `অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার` পদের এক গ্রেড নিচে `অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাক্সিকিউটিভ অফিসার পল্লী ঋণ (এইও-আরসি)` পদে ৮,০০০-১৬,৫৪০/= বেতন স্কেলে উপযুক্ত শর্তাবলী সাপেক্ষে সরকারি কোটা পদ্ধতি অনুসরণপূর্বক প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রার্থীদের নিয়োগ প্রদানের নিমিত্তে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নিকট হতে অপশন লেটার (সম্মতিপত্র) আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সজীব কুমার সাহা সম্মতিপত্র পূরণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন।

সজীব জাগো নিউজকে জানায়, সম্মতিপত্রের ভিত্তিতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৪৩৬ জনকে সরাসরি উক্ত পদে নিয়োগ প্রদান করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে আরো ৩৬৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। এরপর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য ৮০০ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে ৪৩৬ জনকে সরাসরি নিয়োগ প্রদান করে ৩৬৪ জনকে অপেক্ষমান তালিকায় রাখা হয়। পরবর্তীতে অপেক্ষমান তালিকা থেকে ৩৬৬ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। সজীব কুমার সাহার রোল নং- ২৬৬৭৬ এবং সিরিয়াল নাম্বার ৩৬৪ হলেও অজ্ঞাত কারণে তাকে বাদ রেখে ৩৬৬ সিরিয়াল পর্যন্ত নিয়োগ প্রদান করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে সজীব কুমার সাহা ব্যাংকের ডিজিএমসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বার বার মৌখিক ভাবে আশ্বস্ত করে বলে, `চিন্তার কোনো কারণ নেই, তোমার নিয়োগ হবে।` ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, জেলা কোটা (ঝিনাইদহ) না থাকায় তাকে নিয়োগ প্রদান করা হয়নি।

এ বিষয়ে সজীব আরো জানান, ঝিনাইদহ জেলার একাধিক শাখায় উক্ত আরসি পদটি খালি রয়েছে। এ তথ্যটি উপস্থাপন করার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছে তারা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন নিয়ে এসেছেন। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন আনার জন্য বলা হয়। কিন্তু এজন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তার হাতে দিচ্ছে না। নানা অজুহাত দেখিয়ে তাকে নিয়োগ প্রদান করা থেকে বিরত রয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সজীব কুমার সাহার আর মাত্র চার মাস সরকারি চাকরির বয়স রয়েছে। নিয়োগ প্রদানের জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বার বার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না সজীব কুমার সাহা।  

আল-মামুন সাগর/এমজেড/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।