খালা অপহরণ করলেন ভাগ্নেকে
দুই সন্তানের জনক প্রেমিক লিটন মিয়াকে (৪৫) সঙ্গে নিয়ে আপন খালা কোহিনুর বেগম (১৮) অপহরণ করেছিলেন পাঁচ বছরের ভাগ্নে সামির মীর সাফিরকে। শিশুটির মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করা হয় তিন লাখ টাকা। কোহিনুর তৈরি পোষাক কারখানায় কাজ করেন।
ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় এ অপহরণ ঘটনার চারদিনের মাথায় ঠাকুরগাঁও শহরের চৌরাস্তা এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী শিশুটির খালা ও তার প্রেমিককে গ্রেফতার করে র্যাবের ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-২ (সিপিসি-২) নীলফামারী-১৩ ক্যাম্পের সদস্যরা।
সোমবার সন্ধ্যায় শিশুটি উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেফতারের পর রাতে নীলফামারী র্যাব ক্যাম্পে তাদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এরপর রাতেই তাদের ঠাকুরগাঁও থানায় মামলা দিয়ে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শিশুটির খালা কোহিনুর বেগম তার বাবা ফজলুল রহমানের সঙ্গে ঢাকার মিরপুর ১৪ দালানকোট বাড়ির বস্তিতে থাকেন এবং তৈরি পোষাক কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। পরিবারের লোকজন তাকে তার প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় তিনি প্রেমিক লিটন মিয়ার প্ররোচনায় গত ২০ আগস্ট দুপুরে বড় বোনের খিলক্ষেতের বাড়িতে গিয়ে পাঁচ বছরের ভাগ্নেকে অপহরণ করে প্রেমিকসহ ঠাকুরগাঁয়ে চলে আসেন।
দুই সন্তানের জনক প্রেমিক রিপন মিয়া পঞ্চগড় জেলা সদরের দিঘলগ্রামের দহির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ঢাকার মিরপুর ১৪ দালানকোট বাড়ির বস্তিতে থাকেন। সেখানে তার সঙ্গে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে কোহিনুর বেগমের। কিন্তু কোহিনুরের অভিভাবকরা তার সঙ্গে কোহিনুরের বিয়ে দিতে রাজি হননি। তাই তিনি প্রেমিকা কোহিনুর বেগমকে দিয়ে তার বড় বোনের শিশুসন্তানকে অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ চান।
শিশুটির বাবা শামিম জানান, তিনি ঢাকার খিলক্ষেতের বউরা পশ্চিমপাড়ায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকেন। তার সন্তান অপহরণ হবার পর শ্যালিকা কোহিনুর ও তার প্রেমিক লিটন মিয়া মোবাইলে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ঠাকুরগাঁও যেতে বলেন। তখন খিলক্ষেত থানায় একটি জিডি করে র্যাবের সহযোগিতা নিয়ে সন্তান ফিরে পেয়েছি।
নীলফামারী র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি আকরামুল হক জাগো নিউজকে বলেন, অপহরণকারীদের মোবাইল ট্র্যাকিং করে ঠাকুরগাঁওয়ে অভিযান শুরু করি। এসময় শিশুটির বাবাকে দিয়ে অপহরণকারীদের মুক্তিপণের তিন লাখ টাকা প্রদানের সময় ঠাকুরগাঁওয়ের চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে তাদের আটক ও শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। রাতেই তাদের ঠাকুরগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/এমএস