সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের জামিন


প্রকাশিত: ০৬:১৯ এএম, ১৯ আগস্ট ২০১৫

আইসিটি আইনে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তার জামিন মঞ্জুর করেন ফরিদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালত।

 

এর আগে মঙ্গলবার সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ফরিদপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের বিচারক হামিদুল ইসলাম। রিমান্ডে নেওয়ার পর বুধবার সকালে তাকে ফের আদালতে তোলা হলে জামিন দেন আদালত।

 

গত রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার ইন্দিরা রোড থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাকে ফরিদপুরে পাঠানো হয়। 

 

ফরিদপুর কোতয়ালী থানা সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর আদালতের এপিপি স্বপন পাল প্রবীর সিকদারের বিরুদ্ধে রোববার ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় তথ্য প্রযুক্তি আইন-২০০৬ সালের (সংশোধিত-২০১৩) এর ৫৭ (১) ধারায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় প্রবীর সিকদারকে গ্রেফতার দেখানো হয়। 

 

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, প্রবীর সিকদারের দেয়া একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সুনাম ক্ষুণ্ণ হওয়ায় তিনি (স্বপন পাল)সংক্ষুব্ধ হয়ে মামলা করেছেন।

 

শহীদ মুক্তিযোদ্ধো পরিবারের সন্তান সাংবাদিক প্রবীর সিকদার। তার বাবাসহ পরিবারের ১৪ জন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন। ফরিদপুরের কানাইপুরের ঐতিহ্যবাহী জমিদার সিকদার বাড়ির সন্তান প্রবীর সিকদার দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুরের নিজস্ব সংবাদদাতা ও পরে পদোন্নতি পেয়ে স্টাফ রিপোর্টার পদে কর্মরত ছিলেন দীর্ঘদিন। পরে ঢাকায় এসে দৈনিক সমকাল ও দৈনিক কালের কণ্ঠে কাজ করেছেন তিনি।

 

প্রবীণ এ সাংবাদিক বর্তমানে অনলাইন পত্রিকা উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দৈনিক জনকণ্ঠের ফরিদপুরের নিজস্ব সংবাদদাতা থাকাকালে পত্রিকায় প্রকাশিত ‘সেই রাজাকার’ কলামে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুসা বিন শমসেরের বিতর্কিত ভূমিকার বিবরণ তুলে ধরেন তিনি। এরপর ২০০১ সালের ২০ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হন। বর্তমানে একটি পা হারিয়ে পঙ্গু জীবন যাপন করছেন এই কলমযোদ্ধা।

 

এসএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।