৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি অপহৃত স্কুলছাত্রী


প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ১১ আগস্ট ২০১৫

নরসিংদীর শিবপুরে অপহরণের সাত দিন পার হলেও অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে অপহরণের ঘটনায় বখাটে মাসুমকে প্রধান আসামি করে রোববার ৩ জনের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় মামালা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের ৩দিন পার হলেও রহস্যজনক কারণে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অপহৃত স্কুলছাত্রীর নাম সুস্মিতা সিংহ (১২)। সে নরসিংদী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। সে শিবপুরের উত্তর কারাচর এলাকার সুকান্ত সিংহের মেয়ে।

শিবপুর থানা পুলিশ ও অপহৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উত্তর কারাচর এলাকার বাবুল মিয়ার বখাটে ছেলে মাসুম বেশ কয়েকদিন যাবত স্কুলছাত্রী সুস্মিতাকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি সুস্মিতা তার পরিবারকে জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্কুলছাত্রীর অভিভাবক বখাটে মাসুমকে বকাঝকা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয় বখাটে মাসুম।

গত সোমবার বিকেলে সুস্মিতা কোচিং এ যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। বাড়ির অদূরে আসার পর পর পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা ৩ বখাটে সুস্মিতার মুখ চেপে ধরে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় স্কুলছাত্রীর আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে বখাটেরা আস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত রোববার  রাতে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে উত্তর কারাচর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে মাসুম (২০), একই এলাকার মৃত সামেদ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া ও নাজমা বেগমকে আসামি করে শিবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের ৩দিন পার হলেও অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গ্রেফতার করতে পারেনি কোনো আসামিকে। এ ঘটনায় অপহৃত স্কুলছাত্রীর সহপাঠী, অভিভাবক ও এলাকাবসীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে পুলিশ ঘটনার ৭ দিনেও অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করতে না পারায় পুলিশ সুপারের স্বরণাপন্ন হয় স্কুলছাত্রীর বাবা সুকান্ত সিংহ। এতে ক্ষিপ্ত হন শিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম হোসেন।

উদ্ধার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম হোসেন বলেন, অপহৃত স্কুলছাত্রীর বাবা অতিরঞ্জিত করছেন। তিনি একবার পুলিশ সুপারের কাছে আবার সাংবাদিকদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। তবে ৭ দিনেও কেন উদ্ধার হয়নি এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি তিনি।

অপহৃত স্কুলছাত্রীর বাবা সুকান্ত সিংহ বলেন, আমার একমাত্র মেয়েকে অপহরণ করেছে বখাটেরা। পুলিশ, এলাকাবাসী, গ্রামের সকলের কাছে ধরনা দিয়েছি মেয়েটাকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। কেউ আমার কষ্ট বুঝেনি। তাই নিরুপায় হয়ে আমি পুলিশ সুপারের কাছে গিয়েছি।

তবে পুলিশ সুপার আমেনা বেগম (বিপিএম) বলেছেন, ঘটনার পর থেকেই আসামিরা পালিয়ে গেছে। আমরা আমাদের সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের পাশাপাশি আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।

সঞ্জিত সাহা/এসএস/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।