আকাশ পথে ইউএস-বাংলার বিপ্লব
অভ্যন্তরীণ রুটে সর্বাধিক ফ্লাইট ও সর্বোচ্চ সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি খাতের অন্যতম এই এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি লাভ করেছে। যাত্রা শুরুর মাত্র বছরের মাথায় এ ধরনের অগ্রগতিকে আকাশ পথের বিপ্লব বলে আখ্যা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
ইউএস-বাংলার হেড অব মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন মোহাম্মদ শেখ সাদী জানিয়েছেন, দেশে অভ্যন্তরীণ রুটের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। নেই কোনো সিডিউল বিপর্যয়। ফুড, ব্যাগেজ বহন সুবিধাসহ আন্তর্জাতিক মানের অন্যান্য সব ধরনের সুবিধা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সকে দিয়েছে বিশেষ স্বাতন্ত্রতা।
এয়ারলাইন্সটির বহরে রয়েছে কানাডার বোম্বাডিয়ার (বোয়িং) তৈরি ৭৬ আসনের ড্যাস-৮-কিউ৪০০ তিনটি এয়ারক্রাফ্ট।
উন্নত সেবা এবং আদর্শমান বজায় রাখার কারণে যাত্রা শুরুর বছরই পায় ‘বেস্ট ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’। আইএসও-৯০০১-২০০৮ সনদপ্রাপ্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স চলতি বছরের মধ্যেই কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, আবুধাবি, দোহা, মাসকাট, নেপাল, ভূটান, কলকাতা, জেদ্দাসহ বেশ কিছু গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে ইউরোপ আমেরিকা রুটেও ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলার।
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সাবেক সভাপতি ক্যাপ্টেন নাসিমুল হক জাগো নিউজকে বলেন, খুব অল্প সময়ে এমন সফলতা আকাশ বিপ্লবই বটে। তবে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষের উচিত এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা। মনে রাখতে হবে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।
আরএম/বিএ