বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

জাতীয় সংসদের স্পীকার ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটানো, দারিদ্রমুক্ত উন্নত জাতি গঠন, জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।

রোববার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট বার অডিটেরিয়াম শহীদ সফিউর রহমান মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা কালে তিনি এ আহবান জানান।

স্পিকার বলেন, সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা শুধুমাত্র দারিদ্র বিমোচনই নয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। দরিদ্র মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানো ও তাদের অর্থনৈতিক মুক্তির কথা ভাবতেন বঙ্গবন্ধু। আমরা আজ দারিদ্র হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি। শুধুমাত্র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছি তাই নয়, নারী ক্ষমতায়ন, জেন্ডার সমতা, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, শিক্ষা এ সকল ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন অনেক। এ সকল অর্জনকে ধরে রাখতে এ সকল উন্নয়নকে টেকসই রুপদান করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাঙালি জাতির পথের দিশারী হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে গেছেন সমগ্র জীবন। শোষণমুক্ত সমাজ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে, সোনার বাংলা গড়তে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিককে কাজ করে যেতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালিকে দিয়েছেন আত্ম-পরিচয়। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে এ আদর্শকে ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে। সকল মেহনতী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল তার জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মানে আজীবন কাজ করে গেছেন বঙ্গবন্ধু।

সুপ্রিম কোর্ট আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাড. কামরুল ইসলাম, অ্যাড. সাহারা খাতুন, এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, সানজিদা খাতুন, অ্যাড. এম মাহবুব আলম, অ্যাড. ইউছুপ হোসেন হুমায়ূন, অ্যাড. জেড আই খান পান্না, অ্যাড. স. ম. রেজাউল করিম, অ্যাড. কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, অ্যাড.মনসুরুল হক চৌধুরী, অ্যাড.আব্দুল্লাহ আবু, অ্যাড.এএসএম মেজবাহ উদ্দিন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

এইচএস/আরএস/এমআরআই