শ্রীলঙ্কাকে গোলে বন্যায় ভাসালো ভারত
সাফ অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় মিডফিল্ডার সৌরভ মেহেরের দুর্দান্ত হ্যাট্রিকে বন্যায় ভাসলো শ্রীলঙ্কা। নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করার পাশাপাশি টুর্নামেন্টে দলকেও সেমিফাইনালের পথে একধাপ এগিয়ে নেন সৌরভ।
রোববার সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে অ্যাটাকিং ফুটবল খেলে ভারত। বিকেল ৫টা ৬ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কাকে ০-৫ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। ম্যাচের প্রথমার্ধের ৪ মিনিটে শ্রীলঙ্কার ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে ভারতের অময় অবিনাশ মরাজকারের ফ্রি কিক গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপর বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হয় ভারত। ৬ ও ৭ মিনিটে জেরেমি লালদিনপুইয়া, ৮ ও ২০ মিনিটে সৌরভ মেহের সুযোগ পেলেও শ্রীলঙ্কান গোলকিপার লাকসান ইয়াপার দৃঢ়তায় গোলের দেখা পাননি তারা।
প্রথমার্ধের ৩১ মিনিটে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখান ভারতের সৌরভ মেহের। প্রায় মধ্যমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় বল টেনে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটে আক্রমণে ওঠে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কান এম সুয়াইক ভারতের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডিবক্সের ভেতর থেকে জোরালো শট নেন। কিন্তু ভারতের গোলরক্ষক প্রভুষ্কান সিং গিলির দৃঢ়তায় গোলবঞ্চিত হয় শ্রীলঙ্কা।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামে ভারত। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো গল্পটাই ভারতময়। প্রথমার্ধে কয়েকবার আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করলেও দ্বিতীয়ার্ধে খুঁজে পাওয়া যায়নি লঙ্কান কিশোর ফুটবলারদের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর মাত্র ২ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ থেকেই যেন ছিটকে যায় শ্রীলঙ্কা। ভারতের জেরেমি লানদিনপুইয়ার বাঁ প্রান্তের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে লঙ্কান অধিনায়ক মোহাম্মদ আফরান নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দেন।
এরপর ৪৯ মিনিটে মোহাম্মদ শাহজাহানের নেয়া কর্ণার কিক থেকে ডান পায়ের দুর্দান্ত শটে লঙ্কার জালে বল জড়ান সৌরভ মেহের। ৬৬ মিনিটে সৌরভ মেহেরের দুর্দান্ত শট ফিরিয়ে দিলেও বলটি গ্লাভসে রাখতে পারেননি লঙ্কান গোলকিপার লাকশান ইয়াপা। বল পেয়ে যান ভারতের মোহাম্মদ শাহজাহান। আলতো টোকায় গোল করতে ভুল করেননি তিনি।
৭৩ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ভারতের সাকলাইন খানের ক্রসে সৌরভ মেহের বল পেয়ে দারুণ এক শটে গোল করে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন। এরপর আর কোনো গোল হয়নি ম্যাচে। এ জয়ের মধ্য দিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখলো ভারত।
ছামির মাহমুদ/আরটি/আরএস/এমআরআই