ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্টের বাইক স্ট্যান্টে ইন্টারনেট দুনিয়ায় ঝড়

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৯ এএম, ২১ আগস্ট ২০১৮

এমনটা শুধু হলিউডের সিনেমায় দেখা যায়। অসম্ভব মিশনকে এমন কায়দায় সম্ভব বানান সিনেমার হিরোরা। না, এবার কোনো হিরো নয়। ইন্দোনেশিয়ার ৫৭ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো দুর্দান্ত বাইক স্ট্যান্টে মাত করেছেন ইন্টারনেট দুনিয়া। তার চোখ ধাঁধানো ওই স্ট্যান্ট দিয়েই জাকার্তায় উদ্বোধন হয়েছে ১৮তম এশিয়ান গেমসের।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে পৌঁছানোর জন্য গাড়িবহর নিয়ে আসছিলেন উইদোদো। জাকার্তার ভয়াবহ যানজটে আটকে যায় তার ওই বহর। এরপর দেখা যায়, গাড়ি থেকে নেমে মোটরবাইকে লাফিয়ে উঠেন উইদোদো। দক্ষ স্ট্যান্টম্যানের মতো ভয় জাগানো গতিতে সব অলিগলি পেরিয়ে সময়মতোই তিনি পৌঁছে যান স্টেডিয়ামে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ তার এই স্ট্যান্ট দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েন।

উইদোদোর বেপরোয়া মোটরবাইক চালানোর এই ভিডিও ফুটেজটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এটা দেখে বহু ইন্দোনেশিয়ান তাদের প্রেসিডেন্টকে জেমস বন্ড আর মিশন ইম্পসিবলের নায়ক টম ক্রুজের সঙ্গে তুলনা করেছেন। একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেন, ‘এটা শুধু ইন্দোনেশিয়াতেই সম্ভব। আমাদের প্রেসিডেন্টকে মিশন ইম্পসিবল মুভির টম ক্রুজের মতো লাগেছে। প্রেসিডেন্ট জোকোয়ি, আপনিই সেরা।’

ইউটিউবে এই ভিডিও পোস্ট করার পর এখন পর্যন্ত আট লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে তা। ইন্দোনেশিয়ায় 'হ্যাশট্যাগ প্রাউড টু বি ইন্দোনেশিয়া' ও 'হ্যাশট্যাগ স্ট্যান্টম্যান' শিরোনামে এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।

তবে প্রশংসা যেমন পাচ্ছেন, তেমনি সমালোচনাও কম হচ্ছে না। অনেকেই একজন প্রেসিডেন্টের এমন কান্ডকে 'দায়িত্বজ্ঞানহীন' বলে উল্লেখ করেছেন। এতে কোনো দুর্ঘটনা কিংবা জঙ্গি হামলার মতো ঘটনা ঘটতে পারতো বলে মনে করছেন তারা।

আর বিরোধী দল বলছে, নিজের হারানো জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার এবং তরুণ সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই এমনটা করেছেন উইদোদো। এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে প্রেসিডেন্ট তার রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।

ভিডিওটি দেখুন...

এমএমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।