ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যাওয়ার্ড পেল ১৭ প্রতিষ্ঠান
শিল্পখাতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৩ প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়। রোববার রাজধানীর মতিঝিলে পূর্বাণী হোটেলে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
নিজ নিজ শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো এ পুরস্কার দেয়া হয়।
২০১৩ সালের জন্য ৬টি ক্যাটাগরিতে ১৭টি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কারের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এর মধ্যে পৃথক ক্যাটাগরি হিসেবে বৃহৎ শিল্পে ৩টি, মাঝারি শিল্পে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্পে ৩টি, মাইক্রো শিল্পে ২টি, কুটির শিল্পে ৩টি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ঢাকার ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোং লিমিটেড, খুলনা শিপ ইয়ার্ড লিমিটেড ও কুষ্টিয়ার বিআরবি কেবল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে গাজীপুরের এনার্জিপ্যাক ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড, নারায়ণগঞ্জের তামাই নীট ফ্যাশন লিমিটেড ও ঢাকার সিআইবিএল টেকনোলজি কনসালটেন্স লিমিটেড। ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে সাতক্ষীরার মেসার্স রনি এগ্রো ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবনার প্রিন্স কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড ও চট্টগ্রামের রেজিম্যাক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।
মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ঢাকার খান বেকেলাইট প্রোডাক্টস্ ও সিরাজগঞ্জের বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থা। কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ঢাকার অধরা বিউটি পার্লার অ্যান্ড হ্যান্ডিক্রাফট ট্রেনিং সেন্টার, কিশোরগঞ্জের পিন্ধন ও খুলনার গৃহ সুখন।
রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প ক্যাটাগরিতে জামালপুরের যমুনা ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড, ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার আশুগঞ্জ ফার্টিলাইজার অ্যান্ড কেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেড ও গাজীপুরের ন্যাশনাল টিউবস্ লিমিটেড।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গৃহীত শিল্পনীতির ফলে বাংলাদেশে শিল্পায়নের ধারা বেগবান হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের মূল্যায়নে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
দেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির পেছনে শিল্পখাতের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
তিনি টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে জনগণের জীবন-মানের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের লক্ষ্যে শিল্প কারখানায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ব্যাংক, বীমা, শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা পশ্চিম পাকিস্তানি ও বিহারীদের হাতে ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় আজ বাংলাদেশে বড় বড় শিল্প উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। তিনি উৎপাদনশীলতা বিষয়ক ধারণার প্রসারে শিল্প উদ্যোক্তাদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। এতে অন্যদের মধ্যে এনপিও’র পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক আবদুল বাকী চৌধুরী, পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপ ইয়ার্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর সৈয়দ ইরশাদ আহমেদ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো বাংলাদেশ কোং লিমিটেডের চেয়ারম্যান গোলাম মাঈনুদ্দিন, যুগ্ম পরিচালক আবদুল বাকী চৌধুরী ও মেসার্স রনি অ্যাগ্রো ইঞ্জিনিয়ারিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএম নূরুল ইসলাম (রনি) বক্তব্য রাখেন।
এসআই/এসএইচএস/এমআরআই