খুলনায় `বন্দুকযুদ্ধে` ৬ বাঘ শিকারি নিহত


প্রকাশিত: ১১:৩০ এএম, ০৯ আগস্ট ২০১৫

সুন্দরবনের গহীনে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে ৬ বাঘ শিকারি নিহত হয়েছেন। এ সময় তিনটি বাঘের চামড়া ও চারটি বিদেশী একনলা বন্দুক ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। নিহতরা বনদস্যু ইলিয়াস ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্য।

রোববার বিকালে খুলনার কয়রা উপজেলার মান্দারবাড়িয়া খালের উত্তর পাশে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার চরামুখ এলাকার আব্দুল গাজীর ছেলে শফিকুল এবং সিদ্দিক সানা, আনসার আলী, মামুন গাজী, মজিদ গাজী, মো. বাপ্পী।

কয়রা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, শনিবার রাতে সুন্দরবনের ত্রাস ইলিয়াস ও জাহাঙ্গীর বাহিনীর সদস্যরা তিনটি বাঘের চামড়া পাচার করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে চরামুখা এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ।

অভিযানকালে চরামুখ এলাকার শফিকুলের ঘর থেকে তিনটি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ শফিকুলকে গ্রেফতার করে। তিনি বনদস্যু ইলিয়াস বাহিনীর সদস্য। এরপর তাকে নিয়ে পুলিশ রোববার দুপুরে সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় অভিযান শুরু করে।

এ সময় বনদস্যুরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। বনদস্যুদের গুলিতে শফিকুল ইসলাম গাজী নিহত হয়। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে বনদস্যুরা পালিয়ে গেলে পুলিশ তাদের আস্তানায় তল্লাশি চালায়। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিদ্দিক সানা, আনসার আলী সানা, মামুন গাজী, মজিদ গাজী, বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর সেখান থেকে তিনটি বাঘের চামড়া ও চারটি বিদেশী একনলা বন্দুক ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো জানান, নিহতরা দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রাণীর চামড়া পাচারসহ বনজীবীদের জিম্মি করে অর্থ আদায় করে আসছিল। তাদের অত্যাচারে জেলেরা সব সময় আতঙ্কের মধ্য দিন অতিবাহিত করে আসছে। 

আলমগীর হান্নান/এআরএ/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।