এবার আওয়ামী লীগ অফিসে শিশু নির্যাতন
এবার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। চুরির অভিযোগে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার সানিয়াজান বাজারে শিশু আব্দুল জব্বারকে (১১) নির্মমভাবে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার জব্বার এখন রংপুর মেডিকেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। সে উপজেলার সানিয়াজান ইউনিয়নের আরাজি শেখ সুন্দর গ্রামের কাদের মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, গত রোববার ভোরে নিজ শেখ সুন্দর গ্রামের মুদি দোকান ব্যবসায়ী আব্দুল কাদেরের বাড়িতে চুরির অভিযোগ এনে জব্বারকে ধরে সানিয়াজান ইউনিয়ন মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করেন আব্দুল কাদের। পরে সানিয়াজান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে নিয়ে গিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করেন মেম্বার ও স্থানীয় লোকজন। পিটুনিতে গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ১৮ নং ইউনিটে গত তিন দিন ধরে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে জব্বারের বাড়িতে গেলে শোকে মুহ্যমান জব্বারের মা মনোয়ারা বেগম জাগো নিউজকে জানান, আমার শিশু সন্তানকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়েছে। এতে তার চোখ মুখ ফুলে যায়। শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়। সে আর বাঁচবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
নির্যাতিত শিশুটির ভাই বাবলু মিয়া (২৫) জাগো নিউজকে জানান, নির্যাতনকারীরা জব্বারকে গাছের ডাল দিয়ে বেধড়ক পেটায়। এক সময় তার কান দিয়ে রক্ত আসে। জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়ে। তারপরও তাকে পেটানো হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় আমার বাবা চেয়ারম্যান ও মেম্বারের কাছে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও সাদা কাগজে লিখিত দিয়ে জব্বারকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মোস্তফা ও আলম নামে আরো দুইজন জড়িত থাকলেও চেয়ারম্যান ও মেম্বার তাদের ছেড়ে দেন।
তবে সানিয়াজান ইউনিয়ন মেম্বার আফজাল হোসেন ও কাপড় ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, আমরা তাকে মারধর করিনি, তার বাবা ও ভাই তাকে মেরেছে।
সানিয়াজান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহর মোবাইলফোনটি বন্ধ থাকায় শিশু নির্যাতনের এ ঘটনায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আব্দুল মতিন প্রধান জাগো নিউজকে জানান, শিশু নির্যাতন কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমি দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
এমজেড/পিআর