না জিতেও ট্রফিতে চুমু খেলেন ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট
রাশিয়া বিশ্বকাপে মাঠের বাইরে সবচেয়ে বড় তারকা কে? প্রশ্ন করা হলে নিশ্চিত সবাই একবাক্যে উত্তর দেবে কলিনদা গ্রাবার কিতারোভিচ। ক্রোয়েশিয়ার সুন্দরী প্রেসিডেন্ট। নিশ্চিত অর্থেই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী প্রেসিডেন্টের খেতাব জিতে নেবেন তিনি। ক্রোয়েশিয়া মাঠে জেতে আর মাঠের বাইরে দলকে উৎসাহ যোগাতে যেভাবে উপস্থিত হন ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট, তাতেই আলোচনায় চলে এসেছেন তিনি।
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দেয়ার পর ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট নিজে চলে গিয়েছিলেন ড্রেসিং রুমে। যা সত্যিই বিস্ময়কর। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই ছিল তার সরব উপস্থিতি। ফাইনালের জন্যও পুরো ক্রোয়েশিয়াকে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন কিতারোভিচ। নিজে দেশের জার্সি পরে উপস্থিত ছিলেন মাঠে।
ক্রোয়াট প্রেসিডেন্টের আশা ছিল তার দলের খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপটাও জিতে ফেলেবেন। লুকা মদ্রিচ, ইভান রাকিটিচরা বিশ্বকাপ জিতবেন এই আশায় পুরো ক্রোয়েশিয়া উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষায় ছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে হেরে বিশ্বকাপের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হলো ক্রোয়েশিয়াকে। প্রথম থেকে শুরু করে পুরো ক্রোয়েশিয়াকে উজ্জীবিত করেও বিশ্বকাপ জেতাতে পারলেন না ক্রোয়াট প্রেসিডেন্ট কিতারোভিচ।
বিশ্বকাপের পর বিজয় মঞ্চে ফ্রান্স প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কলিনদা গ্রাবার কিতারোভিচ- দুজনই উপস্থিত হয়েছিলেন পোডিয়ামে। উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো।
শেষ মুহূর্তে যখন বিজয়ী দলের হাতে বিশ্বকাপের ট্রফি তুলে দেয়া হবে, তার আগে ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কলিনদা গ্রাবার কিতারোভিচের হাতে ট্রফিটা তুলে দিয়েছিলেন ইনফ্যান্তিনো। এই সুযোগটাকেই হাতছাড়া করতে চাইলেন না ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট। শেষ মুহূর্তে তিনি ট্রফিতে চুমু খেয়ে হলেও জিততে না পারার জ্বালা জুড়ালেন। ট্রফি ধরতে না পারার আক্ষেপ ঘোচালেন।
আইএইচএস/আরএস