নদ-নদীর পানি তুলনামূলক কমছে : তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীর পানি তুলনামূলক কমেছে। দু-একদিন এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া গত কয়েকদিনের চেয়ে মঙ্গলবার তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে।
জানা গেছে, বান্দরবান, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামসহ বন্যাকবলিত এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে। তবে দেশের উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে গঙ্গা নদীর পানি বাড়ছে। আরও দুদিন এ নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। পদ্মা নদীর পানি আগের চেয়ে কমলেও এখন থেকে স্থিতিশীল থাকবে। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলকেও সতর্ক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বিশেষজ্ঞরা।
২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ২৬ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। কমেছে ৫২ পয়েন্টে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যশোরের কপোতাক্ষ এবং চট্টগ্রামের সাংগু নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এ দুটি নদীর ঝিকরগাছা ও দোহাজারি পয়েন্টের পানি পর্যবেক্ষণ করে সরকারি এ সংস্থাটি বলছে, কপোতাক্ষ নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী বিশেষজ্ঞদের মতে, বিপদসীমার এক মিটার ওপরে কোনো নদীর পানি প্রবাহিত হলে সেটা মারাত্মক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে। সেই হিসেবে কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষরা মারাত্মক বন্যার ঝুঁকিতে আছে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, পূর্ণিমার প্রভাব কেটে যাওয়া এবং কোমেন ভারতের দিকে চলে যাওয়ায় পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।
কয়েকদিনের তুলনায় দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমেছে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ঢাকায় ২১ মিলিমিটার। এছাড়া পাবনা (ঈশ্বরদী) ও ভোলায় ১৫ ও ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এদিন চাঁদপুর, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী, খুলনা, মংলা, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় সামান্য পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়। মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সে সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশের রাত ও দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এএইচ/এমএস