দেখুন এশিয়া কাপ জয়ের শেষ মুহূর্ত (ভিডিও)

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ১০ জুন ২০১৮

প্রখর রোদ ছড়ানো সূর্যটা মধ্য আকাশ থেকে পশ্চিমে হেলে পড়ছিল তখন। দেশে তখন দরদর করে ঘামছে মানুষজন। হাজার মাইল দূরে ঘামছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়েরাও। তবে সেটি গরমের কারণে নয়, নারী এশিয়া কাপ ফাইনালের উত্তেজনার কারণে।

সেই ফাইনাল ম্যাচে ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশকে করতে হতো ১১৩ রান। এই টুর্নামেন্টেই ভারতের বিপক্ষে ১৪২ রান তাড়া করে জয় পাওয়ায় ১১৩ রান করাটা খুব একটা কঠিন হওয়ার ছিল না বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত হওয়াতেই ছিল যত দুশ্চিন্তা।

তবে সেসব দুশ্চিন্তাকে পাশ কাটিয়ে শেষ ওভারের উত্তেজনা সামাল দিয়ে ৩ উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। গড়েছে ইতিহাস, জিতেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম শিরোপা।

ম্যাচের শেষ ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। বোলিংয়ে ভারতের অধিনায়ক এবং অন্যতম সেরা বোলার হারমানপ্রিত কাউর। ব্যাটসম্যান সানজিদা রহমান এবং রোমানা আহমেদ।

সানজিদা এবং রোমানা আহমেদ দু’জনই মোটামুটি সেট ব্যাটসম্যান। রোমানা তো আশা-ভরসারই প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। হারমানপ্রীত কাউরের কাছ থেকে ১ রান নিয়ে রোমানাকে স্ট্রাইকে পাঠান সানজিদা। দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে ৪ মেরে সমীকরণ সহজ করে নেন রোমানা। পরের বলে ১ রান নিয়ে লক্ষ্যমাত্রাটা ৩ বলে ৩ রানে নামিয়ে আনেন রোমানা।

চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে তৈরি হয়েছিল চরম নাটকীয়তা। ছক্কা মারতে গিয়ে লংঅনে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন সানজিদা। তখনো ২ বলে প্রয়োজন ছিল ৩ রান। তবে স্ট্রাইকে রোমানা থাকায় আশা বেঁচে ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু ২ রান নিতে গিয়ে রানআউটে কাঁটা পড়েন ২২ বলে ২৩ রান করা রোমানা। নিজের ভুলের কারণে রানআউট হয়ে যান তিনি।

শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। জাহানারা আলম উইকেটে। হারমানপ্রিতের অফস্টাম্পের বলে সুইপ করেই পড়িমড়ি দৌড় লাগান স্ট্রাইকে থাকা জাহানারা। অনেকটা অসম্ভব এক ডাবল নিয়েই উল্লাসে ফেটে পড়ে জাহানারাসহ পুরো বাংলাদেশ দল। স্টেডিয়ামে উপস্থিত বাংলাদেশি দর্শক-সমর্থকরা নেমে আসেন মাঠে। আনন্দ-উল্লাস করতে শুরু করেন নারী ক্রিকেটারদের ঘিরে।

এসএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।