থাইল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল নারী দল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৪ এএম, ০৭ জুন ২০১৮

অন্ততপক্ষে ফাইনাল খেলার আশায় মালয়েশিয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে হতাশাজনক হারের পর অনেকটাই চুপসে যায় ফাইনাল খেলার স্বপ্ন। তবে এরপর টানা ৩ ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল সালমা-রোমানারা।

আগের দুই ম্যাচে শক্তিশালী দুই দেশ পাকিস্তান এবং ভারতকে হারানোর পর অনেকটাই নিশ্চিত ছিল পরের দুই ম্যাচে জিতবে বাংলাদেশ। এর ব্যতয় ঘটেনি থাইল্যান্ডের বিপক্ষে। থাই নারীদের হেসে খেলেই ৯ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশের নারীরা। শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় পেলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের ফাইনালের টিকিট।

কুয়ালালামপুরের কিনরারা একাডেমি ওভাল মাঠে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আগে বোলিং করতে নেমে শুরু থেকেই থাইল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে বাংলাদেশি বোলাররা। মাত্র ৩৯ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে থাইল্যান্ড।

সেখান থেকে অধিনায়ক সোনারিন টিপচের অপরাজিত ১৩ এবং লেজের সারির সিরিন্ত্রা সেংসাকারোতের ১৪ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে থামে থাইল্যান্ডের ইনিংস। এছাড়া নাত্য বোচাথামের ব্যাট থেকে আসে ইনিংস সর্বোচ্চ ১৫ রানের ইনিংস।

jagonews24

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে কিপটে বোলিং করেন সবাই। নাহিদা আক্তার ৪ ওভারে ২ মেইডেনের সাহায্যে মাত্র ১০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। অধিনায়ক সালমা খাতুন ৪ ওভারে ২ উইকেট নিতে খরচ করেন মাত্র ৬ রান। ৪ ওভারে ১ মেইডেনে ৯ রান খরচায় ১ উইকেট নেন ফাহিমা খাতুন।

রান তাড়া করতে নেমে শামীমা সুলতানা ৮ রান করে ফিরে গেলেও অপরাজিত ৫৮ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন আয়েশা রহমান এবং নিগার সুলতানা। উভয়েই অপরাজিত থাকেন ২৫ রানের ইনিংস খেলে। কিপটে বোলিংয়ে ৪ ওভারে ১৯টি ডট বল করে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন অধিনায়ক সালমা।

৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী ৯ জুন স্বাগতিক মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে খেলতে নামবে বাংলাদেশের নারীরা।

এসএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।