রশিদ খানেই নাকাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা
সিরিজ শুরুর আগেই তুমুল আলোচনা চলছিল আফগানদের দুই স্পিনার রশিদ খান এবং মুজিব উর রহমানকে নিয়ে। প্রথম ম্যাচে তিন বিভাগেই বাজে খেলে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও রশিদ খানের স্পিনেই নাকাল হল বাংলাদেশ দল। সাথে মুজিব-নাবীদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৪ রান করতে পেরেছে বাংলাদেশ।
প্রথমবারের মত জিম্বাবুয়ে ব্যতীত কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে সিরিজ জিততে আফগানদের প্রয়োজন মাত্র ১৩৫ রান। প্রথম ম্যাচে ১৬৭ রান করা আফগানিস্তানের জন্য এই লক্ষ্য খুব বড় হওয়ার কথা নয়।
দেরাদুনে দ্বিতীয় ম্যাচেও টসে জেতেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভাগ্য বদলের লক্ষ্যে এই ম্যাচে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার লিটন কুমার দাশ। অপরপ্রান্ত ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাব্বির রহমান এবং তামিম ইকবাল আশা দেখাচ্ছিলেন ভাল কিছু করার। কিন্তু ৩ চারের মারে মাত্র ১৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাব্বির। বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি মুশফিকও। ম্যাচের প্রথম ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি ফেরেন ২২ রান করে।
১ ছক্কা এবং ১ চারের মারে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। তখনও অপরপ্রান্তে অবিচল ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকা তামিম। তাকে সঙ্গ দিতে এসে ব্যর্থ হন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ফেরেন মাত্র ৩ রান করে। বেশি কিছু করতে পারেননি মোসাদ্দেক সৈকত এবং সৌম্য সরকারও।
অতিরিক্ত ধীরগতির ইনিংসে ৪৩ রান করে ফেরেন তামিম। এই রান করতে ৪৮ বল মোকাবেলা করেন তিনি। শেষদিকে দুই বোলার আবু হায়দার রনি এবং নাজমুল ইসলাম অপুর ১৩ বলে ২৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ১৩৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। রনি ২১ এবং অপু ৬ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আফগানদের পক্ষে রশিদ খান ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। মোহাম্মদ নাবী নেন ২টি উইকেট। কোন উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন মোহাম্মদ নাবী।
এসএএস/বিএ