‘ক্ষমা চেয়ে বলেছে তুমি মুসলমান আর গোল করো না’

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ০৫ জুন ২০১৮

‘প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা সেদিন মাঠে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে, ক্ষমা চেয়ে বলেছে আর গোল করো না। তুমিও মুসলমান, আমরাও মুসলমান। তারা আমার দু’হাত ধরে বলেছিলো আর গোল করো না। সেদিনের খেলায় আমি একাই পাঁচ গোল করেছিলাম। বাংলাদেশ দল জয়ী হয়েছিল আট গোলে।’

সুদীর্ঘ ৩৩ বছর আগে, ১৯৮৫ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত মালদ্বীপের বিরুদ্ধে ৮-০ গোলে অসাধারণ এক জয়ের সুখস্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে হতাশামিশ্রিত কণ্ঠে বর্তমান ফুটবলের দুরবস্থার বর্ণনা দিচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলাম।

হতাশা জড়ানো কণ্ঠেই তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এমনই দুর্ভাগ্য যে, দেশের খেলোয়াড়রা একের পর এক গোল খেয়ে হাত জোড় করে মাফ চেয়েছিল, সেই দেশটি আজ সাফ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ ফুটবলে দিনকে দিন পিছিয়ে পড়ছে। সেই দেশের সামনে এখন আমরা দাঁড়াতেই পারি না।’

আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে প্রাণ-আরএফএল অডিটোরিয়ামে বিশ্বকাপ নিয়ে জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন ‘বিশ্বকাপের মাতাল হাওয়া’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

jagonews24

শেখ মোহাম্মদ আসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ভীষণ ফুটবলপ্রিয়। ৮০ বছর বয়সের একজন বৃদ্ধ, যিনি লাঠি হাতে চলাফেরা করেন তার সামনে ফুটবল দিলেও তিনি লাঠিতে ভর দিয়ে লাথি মারতে আসেন; কিন্তু ফুটবলকে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য যাদের হাতে নেতৃত্ব তারা মাঠে দর্শক টানতে পারছেন না। এখন আর মানুষ মাঠে গিয়ে খেলা দেখে না। দুই আঙ্গুলে মোবাইল কিম্বা কম্পিউটারে ফুটবল খেলেন ও দেখেন।’

আসলাম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘তিনি ফুটবলকে রসাতলে ডুবিয়ে চলেছেন। যে বাংলাদেশ একসময় ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতো, সেই বাংলাদেশ র‌্যাংকিংয়ে ক্রমান্বয়ে পেছনে যাচ্ছে।’

শেখ মোহাম্মদ আসলাম বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন বিশ্বকাপের মাতাল হাওয়া উদ্যোগকে প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেন।

এমইউ/আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।