জেনে নিন বিশ্বকাপের অজানা সব তথ্য

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ জুন ২০১৮

বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দরজায়। সারা বিশ্বের ক্রীড়াপ্রেমীদের চোখ এখন রাশিয়ায়। ১১টি শহরের ১২টি ভেন্যু পুরোপুরি প্রস্তুত। সাজিয়ে বসেছে তারা বিশ্বকাপের পসরা। স্বাগত জানাচ্ছে পুরো বিশ্বকে। ফুটবলপ্রেমীরা শুধু রাশিয়া বিশ্বকাপকেই নয়, জানার চেষ্টা করছেন বিশ্বকাপের ইতিহাস। খুঁজে ফিরছেন নানান পরিসংখ্যান। জাগো নিউজ তাই পাঠকদের কথা চিন্তা করেই এক ক্লিকে যেন সব পরিসংখ্যান জানা যায়, সে আয়োজন করেছে…

বিশ্বকাপের রোল অব অনার 

বছর

স্বাগতিক

জয়ী

রানার্স আপ

তৃতীয় স্থান

চতুর্থ স্থান

দলের সংখ্যা

১৯৩০

বিস্তারিত

উরুগুয়ে

উরুগুয়ে

আর্জেন্টিনা

যুক্তরাষ্ট্র

যুগোস্লাভিয়া

১৩

১৯৩৪

বিস্তারিত

ইতালি

ইতালি

চেকোস্লোভাকিয়া

জার্মানি

অস্ট্রিয়া

১৬

১৯৩৮

বিস্তারিত

ফ্রান্স

ইতালি

হাঙ্গেরি

ব্রাজিল

সুইডেন

১৬/১৫

১৯৫০

বিস্তারিত

ব্রাজিল

উরুগুয়ে

ব্রাজিল

সুইডেন

স্পেন

১৬/১৩

১৯৫৪

বিস্তারিত

সুইজারল্যান্ড

পশ্চিম জার্মানি

হাঙ্গেরি

অস্ট্রিয়া

উরুগুয়ে

১৬

১৯৫৮

বিস্তারিত

সুইডেন

ব্রাজিল

সুইডেন

ফ্রান্স

পশ্চিম জার্মানি

১৬

১৯৬২

বিস্তারিত

চিলি

ব্রাজিল

চেকোস্লোভাকিয়া

চিলি

যুগোস্লাভিয়া

১৬

১৯৬৬

বিস্তারিত

ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ড

পশ্চিম জার্মানি

পর্তুগাল

সোভিয়েত ইউনিয়ন

১৬

১৯৭০

বিস্তারিত

মেক্সিকো

ব্রাজিল

ইতালি

পশ্চিম জার্মানি

উরুগুয়ে

১৬

১৯৭৪

বিস্তারিত

পশ্চিম জার্মানি

পশ্চিম জার্মানি

নেদারল্যান্ডস

পোল্যান্ড

ব্রাজিল

১৬

১৯৭৮

বিস্তারিত

আর্জেন্টিনা

আর্জেন্টিনা

নেদারল্যান্ডস

ব্রাজিল

ইতালি

১৬

১৯৮২

বিস্তারিত

স্পেন

ইতালি

জার্মানি

পোল্যান্ড

ফ্রান্স

২৪

১৯৮৬

বিস্তারিত

মেক্সিকো

আর্জেন্টিনা

পশ্চিম জার্মানি

ফ্রান্স

বেলজিয়াম

২৪

১৯৯০

বিস্তারিত

ইতালি

পশ্চিম জার্মানি

আর্জেন্টিনা

ইতালি

ইংল্যান্ড

২৪

১৯৯৪ বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্র

ব্রাজিল

ইতালি

সুইডেন

বুলগেরিয়া

২৪

১৯৯৮

বিস্তারিত

ফ্রান্স

ফ্রান্স

ব্রাজিল

ক্রোয়েশিয়া

নেদারল্যান্ডস

৩২

২০০২

বিস্তারিত

কোরিয়া-জাপান

ব্রাজিল

জার্মানি

তুরস্ক

দক্ষিণ কোরিয়া

৩২

২০০৬

বিস্তারিত

জার্মানি

ইতালি

ফ্রান্স

জার্মানি

পর্তুগাল

৩২

২০১০

বিস্তারিত

দ. আফ্রিকা

স্পেন

নেদারল্যান্ডস

জার্মানি

উরুগুয়ে

৩২

২০১৪

বিস্তারিত

ব্রাজিল

জার্মানি

আর্জেন্টিনা

নেদারল্যান্ডস

ব্রাজিল

৩২

jagonews24

 বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতা

নং

দেশ

খেলোয়াড়

গোল

জার্মানি

মিরোস্লাভ ক্লোসা

১৬

ব্রাজিল

রোনালদো

১৫

জার্মানি

গার্ড মুলার

১৪

ফ্রান্স

জ্যাঁ ফঁন্তে

১৩

ব্রাজিল

পেলে

১২

জার্মানি

ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যান

১১

হাঙ্গেরি

স্যান্ডর ককসিস

১১

 * অন্তত ১০টি গোল করেছেন যারা

চ্যাম্পিয়নদের অল টাইম টেবিল

অবস্থান

দল

অংশ গ্রহণ

ম্যাচ

জয়

ড্র

হার

গোল

(পক্ষে)

গোল

(বিপক্ষে)

পার্থক্য

পয়েণ্ট

শিরোপা

 ব্রাজিল

২০

১০৪

৭০

১৭

১৭

২২১

১০২

১১৯

২২৭

জার্মানি

১৮

১০৬

৬৬

২০

২০

২২৪

১২১

১০৩

২১৮

ইতালি

১৮

৮৩

৪৫

২১

১৭

১২৮

৭৭

৫১

১৫৬

আর্জেন্টিনা

১৬

৭৭

৪২

১৪

২১

১৩১

৮৪

৪৭

১৪০

স্পেন

১৪

৫৯

২৯

১২

১৮

৯২

৬৬

২৬

৯৯

ইংল্যান্ড

১৪

৬২

২৬

২০

১৬

৭৯

৫৬

২৩

৯৮

ফ্রান্স

১৪

৫৯

২৮

১২

১৯

১০৬

৭১

৩৫

৯৬

উরুগুয়ে

১২

৫১

২০

১২

১৯

৮০

৭১

৭২

jagonews24

বিশ্বকাপের টুকিটাকি

সবচেয়ে বেশি জয়

  • ৫ : ব্রাজিল (১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, ২০০২)

সবচেয়ে বেশি ফাইনালিস্ট

  • ৮ : জার্মানি (১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ২০০২, ২০১৪)

সেরা তিনে সবচেয়ে বেশিবার থাকা দল

  • ১২ : জার্মানি (১৯৩৪, ১৯৫৪, ১৯৬৬, ১৯৭০, ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪)

সবচেয়ে বেশি সেরা চারে থাকা দল

  • ১৩ : জার্মানি (১৯৩৪, ১৯৫৪, ১৯৫৮, ১৯৬৬, ১৯৭০, ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৮৬, ১৯৯০, ২০০২, ২০০৬, ২০১০, ২০১৪)

সবচেয়ে বেশি সেরা আটে থাকা দল

  • ১৭ : জার্মানি (১৯৩০, ১৯৩৮ ও ১৯৫০ ছাড়া প্রতিটি বিশ্বকাপে), ব্রাজিল (১৯৩৪, ১৯৬৬ ও ১৯৯০ ছাড়া প্রতিটি বিশ্বকাপে)

সবচেয়ে বেশি সেরা ১৬য় থাকা দল

  • ২০ : ব্রাজিল (প্রতিটি টুর্নামেন্টেই)

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি অংশগ্রহণ

  • ২১ : ব্রাজিল (প্রতিটি টুর্নামেন্টেই, ২০১৮সহ)

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানারআপ

  • ৪ : জার্মানি (১৯৬৬, ১৯৮২, ১৯৮৬, ২০০২)

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি তৃতীয়স্থান হওয়া দল

  • ৪ : জার্মানি (১৯৩৪, ১৯৭০, ২০০৬, ২০১০)

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চতুর্থ হওয়া দল

  • ৩ : উরুগুয়ে (১৯৫৪, ১৯৭০, ২০১০)

বিশ্বকাপে টানা চ্যাম্পিয়ন

  • ২ : ইতালি (১৯৩৪-১৯৩৮) এবং ব্রাজিল (১৯৫৮–১৯৬২)

বিশ্বকাপে টানা সেরা দুইয়ে থাকা দল

  • ৩ : জার্মানি (১৯৮২-১৯৯০) এবং ব্রাজিল (১৯৯৪–২০০২)

বিশ্বকাপে টানা সেরা তিনে থাকা দল

  • ৪ : জার্মানি (২০০-২০১৪)

বিশ্বকাপে টানা সেরা চারে থাকা দল

  • ৪ : জার্মানি (২০০-২০১৪)

বিশ্বকাপে প্রথম গোল

  • লুসিয়েন লরেন্ত (ফ্রান্স) বনাম মেক্সিকো, ১৩ জুলাই ১৯৩০

বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী গোল

  • ১৭ বছর, ৭ মাস ২৭ দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল) বনাম ওয়েলস, ১৯ জুন, ১৯৫৮

বিশ্বকাপে সবচেয়ে কম বয়সী হ্যাটট্রিককারী

  • ১৭ বছর, ৮ মাস ১দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল) বনাম ফ্রান্স, ২৪ জুন, ১৯৫৮

বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে কম বয়সী স্কোরার

  • ১৭ বছর, ৮ মাস ৬ দিন বয়সে, পেলে (ব্রাজিল) বনাম সুইডেন, ১৯ জুন, ১৯৫৮

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী স্কোরার

  • ৪২ বছর, ১ মাস এবং ৮ দিন বয়সে, রজার মিলা (ক্যামেরুন) বনাম রাশিয়া, ২৮ জুন, ১৯৯৪

বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী হ্যাটট্রিককারী

  • ৩৩ বছর, ৫ মাস এবং ৮ দিন বয়সে তোরে কেলার (সুইডেন) বনাম কিউবা, ১২ জুন, ১৯৩৮

বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে বেশি বয়সী স্কোরার

  • ৩৫ বছর, ৮ মাস এবং ২১ দিন বয়সে নিলস লিয়েন্ডলম (সুইডেন) বনাম ব্রাজিল, ২৯ জুন ১৯৫৮

বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম গোল

  • ১১ সেকেন্ডে : হাকান সুকুর (তুরস্ক) বনাম দক্ষিণ কোরিয়া, ২০০২

বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম গোল (বদলি হিসেবে)

  • ১৬ সেকেন্ড, এডি স্যান্ড (ডেনমার্ক) বনাম নাইজেরিয়া, ১৯৯৮।

বিশ্বকাপ ফাইনালে সবচেয়ে দ্রুততম গোল

  • ৯০ সেকেন্ড, ইয়োহান নিসকেন্স (নেদারল্যান্ডস) বনাম পশ্চিম জার্মানি, ১৯৭৪।

সংখ্যা তথ্য

৩০০ : ১৯৩০ প্রথম বিশ্বকাপে রোমানিয়া এবং পেরুর ম্যাচে মাত্র ৩০০ জন দর্শক উপস্থিত হয়েছিল। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে কম দর্শক উপস্থিত হওয়ার ঘটনা।

৪২: বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী ফুটবলার রজার মিলা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ৪২ বছর বয়সে ক্যামেরুনের হয়ে বিশ্বকাপে খেলতে নামেন তিনি।

৭০: বিশ্বকাপে ব্রাজিলের মোট জয়ের সংখ্যা। ১৯৩০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ব্রাজিল মোট ১০৪টি ম্যাচ খেলে জয় পেয়েছে ৭০টিতে। হেরেছে ১৭টি আর ড্র করেছে ১৭টিতে।

১৭ : নরম্যান হোয়াইটসাইড। বিশ্বকাপের সবচেয়ে কমবয়সী ফুটবলার। ১৯৯২ সালে মাত্র ১৭ বছর ৪১দিন বয়সে আয়ারল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ খেলতে নামেন তিনি।

১২ : বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল। ১৯৫৪ বিশ্বকাপে অস্ট্রিয়া এবং সুইজারল্যান্ডের ম্যাচ শেষ হয় ৭-৫ ব্যবধানে।

২৭ : ১৯৫৪ সালের বিশ্বকাপে হাঙ্গেরির মোট গোলের সংখ্যা। বিশ্বকাপের এক আসরে কোনো একে দলের সর্বোচ্চ গোলের সংখ্যাও এটি। ওই বিশ্বকাপে হাঙ্গেরি ফাইনালেও গিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির কাছে ৩-২ গোলে হেরে শিরোপা বঞ্চিত থাকতে হয় তাদেরকে।

১৯৯৯৫৪ : বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি দর্শকের উপস্থিতি। ১৯৫০ বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারনী শেষ ম্যাচে ব্রাজিল আর উরুগুয়ের খেরা দেখার জন্য রিও ডি জেনিরোর মারাকানা স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ৯৫৪ জন দর্শক।

২৩০০ : বিশ্বকাপে সর্বমোট গোলের সংখ্যা। ১৯৩০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ২০টি বিশ্বকাপে সর্বমোট গোল হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি। এর মধ্য থেকে বাদ দেয়া হয়েছে টাইব্রেকারের পেনাল্টি শটগুলো। জার্মানি সর্বোচ্চ ২২৪টি গোল করেছে।

১৬ : মাঠে নামার ১৬ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল। ১৯৯৮ বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া বিরুদ্ধে দ্বিতীয় রাউন্ডে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে ৫৯ মিনিটে মাঠে নেমে মাত্র ১৬ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন ডেনমার্কের এবি স্যান্ড। যা এখনও পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে দ্রুততম গোল করার রেকর্ড।

১১ : বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুততম গোল। ২০০২ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে তুরস্কের হাকান সুকুর মাত্র ১১ সেকেন্ডের মাথায় গোল করেন।

২২১ : বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলসংখ্যা। বিশ্বকাপের ইতিহাসে একমাত্র ব্রাজিলই সব বিশ্বকাপে খেলে ২২১টি গোল করেছে। সবচেয়ে বেশ ম্যাচ জিতেছেও তারা। ১০৪ ম্যাচ খেলে জয় ৭০৬টিতে।

jagonews24

তথ্য কনিকা

* বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার। তার গোলসংখ্যা ১৬টি। ২০১৪ বিশ্বকাপেই তিনি ব্রাজিলের রোনালদোর ১৫ গোলের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যান।

* ১৯৭৮ সালে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ডাচ স্ট্রাইকার রব রেনসেনব্রিক পেনাল্টি থেকে গোল করে বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১ হাজারতম গোল পূরণ করেন।

* প্রথম এশিয়ান দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে অংশ নেয় ইন্দোনেশিয়া। ১৯৩৮ সালের তৃতীয় বিশ্বকাপে ইন্দোনেশিয়া ডাচ ইস্ট ইন্ডিজ নামে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল।

* রবার্ট প্রোসিনেক্সি একমাত্র ফুটবলার, যিনি বিশ্বকাপ খেলেছেন দুটি দেশের হয়ে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে খেলেন যুগোস্লাভিয়ার হয়ে। আর ১৯৯৮ ফ্রান্স বিশ্বকাপ খেলেন ক্রোয়েশিয়ার হয়ে।

* ১৯৮২ বিশ্বকাপে হাঙ্গেরির ল্যাজলো কিস মাত্র ৭ মিনিটের ব্যবধানে এল সালভাদরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন। ওই ম্যাচের ৫৫ মিনিটে পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন কিস।

* ১৯৫৪ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের পর থেকে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেতে দক্ষিণ কোরিয়াকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৪৮ বছর। ২০০২ বিশ্বকাপে প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া ২-০ গোলে হারায় পোল্যান্ডকে। সেবারই প্রথম কোনো এশিয়ান দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলে তারা।

* ১৯৭০ বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিশ্বকাপেকোনো লালকার্ড-হলুদ কার্ডের নিয়ম ছিল না। ১৯৭৪ বিশ্বকাপেই প্রথম এ নিয়ম চালু করা হয়। চিলির কার্লোস ক্যাসজেলিকে প্রথম লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বহিস্কার করা হয়।

* বিশ্বকাপের ফাইনালে একমাত্র হ্যাটট্রিককারী ফুটবলার ইংল্যান্ডের জিওফ হার্স্ট। ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তিনি পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে এই হ্যাটট্রিক করেন।

* ১৯৫৮ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বেই ব্রাজিল-ইংল্যান্ড ম্যাচটি শেষ হয়েছিল গোলশূন্য ড্রতে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটিই প্রথম কোনো মাচ গোলশূন্যভাবে শেষ হওয়ার ঘটনা।

* ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের বিশ্বকাপে অংশ না নেয়া একমাত্র দল উরুগুয়ে। ১৯৩০ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পর ১৯৩৪ সালের বিশ্বকাপে অংশ নেয়নি তারা।

* ২০০৬ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ঘানার বিরুদ্ধে আদ্রিয়ানের গোল দিয়ে বিশ্বকাপে ব্রাজিল ২০০তম গোল পূরণ করে। এর আগে ১৯৭০ সালে ফাইনালে পেলের গোলে ১০০তম গোল পূরণ করেছিল তারা।

* ১৯৫৪ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই হাঙ্গেরি করে ১৭টি গোল। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৯-০ এবং দ্বিতীয় ম্যাচে পশ্চিম জার্মানিকে হারায় ৮-৩ গোলে।

* বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম আত্মঘাতি গোল করেন সুইজারল্যান্ডের আর্নেস্ট লোইসচার। প্রথম পর্বের পরিবর্তিত খেলায় জার্মানির বিপক্ষে খেলতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান তিনি।

আইএইচএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।