মিরাজের ব্যাকআপ হয়ে ফিরেছেন মোসাদ্দেক!

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ২০ মে ২০১৮

আগেই জানা হয়ে গিয়েছিল বাঁহাতি ওপেনার ইমরুল কায়েস আর পেসার তাসকিন আহমেদ বাদ যাচ্ছেন। তাদের সঙ্গে শেষ মুহুর্তে উইকেটকিপার কাম মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানকেও বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এই তিনজনকে বাইরে রেখে মিডল অর্ডার কাম অফস্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে আবার নেয়া হয়েছে। যার মানে নিদাহাস ট্রফির ১৬ সদস্যের স্কোয়াড থেকে এই তিনজন বাদ পড়েছেন এবং স্কোয়াডে ফিরেছেন মোসাদ্দেক হোসেন।

মোসাদ্দেককে কেন নেয়া হলো? এ প্রশ্ন উঠলো দল ঘোষণার প্রেস কনফারেন্সে, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘অলরাউন্ডারের চিন্তা থেকেই মোসাদ্দেককে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আর আরও একটা কারন আছে। তা হলো মিরাজের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা সন্দেহ আছে আমাদের। এখন পর্যন্ত যতখানি আছে, শতভাগ ফিট নয়। ধীরে ধীরে তার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। সেই হিসেবে মিরাজের ব্যাকআপ হিসেবে মোসাদ্দেক হোসেনকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’

তাহলে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে মোসাদ্দেককে বাদ দেয়ার কারণ কি? প্রধান নির্বাচকের জবাব, ‘সেটা অন্য জিনিস। আমরা মনে করছি টি-টোয়েন্টিতে বোলিং করার যথেস্ট স্কিল আছে মোসাদ্দেকের। ও যথেস্ট ট্যালেন্ট আমরা জানি। মাঝখানে একটু ছন্দপতন হয়েছিল। এই মুহুর্তে ফিটনেসসহ যাবতীয় বিষয়গুলো দেখে এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলাপ করে আমরা তাকে নির্বাচন করেছি। ’

প্রশ্ন উঠলো তাসকিনের বাদ পড়া নিয়েও। কি কারনে তাসকিনকে বিবেচনায় আনা হয়নি? ব্যাখ্যা চাওয়া হলে নান্নু যা বললেন, তা শুনে মনে হলো ফিটনেসে ঘাটতি আর ইনজুরির কারনেই নেই তাসকিন। তাইতো প্রধান নির্বাচকের মুখে এমন কথা, ‘তাসকিন কিন্তু নিদাহাস ট্রফিতে গিয়েই ইনজুরিতে পড়েছিল। তবে এই ইনজুরিটা বেশ আগের। রিহ্যাব প্রক্রিয়াতে থেকে ইনজুরি কাটানোর চেষ্টা করছে তাসকিন। আমার বিশ্বাস হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে সুস্থ হয়ে উঠবে।’

সোহান নেই কেন ? তার জবাবে প্রধান নির্বাচক যা বললেন , তা শুনে মনে হলো তাকে ওয়েষ্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য বিবেচনা করা হচ্ছে। নান্নু বলেন, ‘আফগানিস্তানে তিনটা টি-টোয়েন্টি খেলা। শর্টার ভার্সনের ম্যাচ। ওকে নিয়ে (সোহান) আমাদের অন্যরকম চিন্তা ভাবনা আছে। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে খেলা। কিন্তু ওখানে গিয়ে টেস্ট প্রস্তুতি নেওয়াটা খুব কঠিন! সামনে লম্বা সফর। যার কারনে কিছু খেলোয়াড়কে অফ করা হয়েছে। যার কারনে ইমরুল কায়েসকে অফ করা হয়েছে। শটার ভার্সনে খেলোয়াড় দেখা কিন্তু খুব কষ্টকর। সামনের ব্যস্ততার কথা চিন্তা করেই সোহানকে ড্রপ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দলে দুইজন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান আছে। লিটনের সঙ্গে মুশফিকও আছে। মুশফিক খুব ভালো করছে।’

দলে নতুনদের কথা ভাবা যেত কিনা ? এই প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচক সোজা সুজি বলেই ফেলেছেন , আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ হেলা ফেলার নয়। যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ন। তাই তারা কোনরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর চিন্তা করেনি টিম ম্যানেজম্যান্ট।

‘এই জায়গাতে আমরা ওই চিন্তা ভাবনায় যায়নি। কারন প্রতিটি সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিন্তু র‍্যাংকিংয়েও আমার অনেকটা পিছিয়ে আছি। এই কারনেই আমাদের সেরা দলটা পাঠানোর চিন্তা ভাবনা করেছি। কেননা সামানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও আছে। ওখানেও টি-টোয়েন্টি আছে। চেষ্টা করেছি আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটা গঠন করতে। নিদাহাস ট্রফির পর টি-টোয়েন্টি দলটা আমরা অনেকটাই পেয়ে গেছি। কিছুদিন আগেও এ ব্যাপারে আমরা ব্যাকফুটে ছিলাম। এই ফরমেটে আমরা বুঝতে পেরেছি কোথায় আমাদের শক্তির জায়গাগুলো। যার কারনে খুব বেশি পরিবর্তনে যাইনি আমরা।

নাজমুল হোসেন শান্ত আর মিথুন আলী ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল করেছেন। রানে আছেন। তাদের বিবেচনায় আনা কি যেতনা? এ প্রশ্নের জবাবে নান্নুর ব্যাখ্যা, ‘শান্তকে আমরা ২০ ওভারের ক্রিকেটের জন্য চিন্তা করছি না। ওকে নিয়ে আমাদের ভাবনা ৫০ ওভার কিংবা লংগার ভার্সন ক্রিকেটে। সামনেই হয়তো ওকে দেখা যাবে এই ধরেনর কোন ম্যাচে। ওর জায়গাতে অনেকগুলো খেলোয়াড় ভালো করছে। এই কারনে ওকে বিবেচনা করা হয়নি।’

এআরবি/এসএএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।