ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : এগিয়ে প্লাতিনি পেছনে ম্যারাডোনা-জিকো


প্রকাশিত: ০৪:৫৯ এএম, ৩১ জুলাই ২০১৫

ক্রমেই জমে উঠছে ফিফার প্রেসিডিন্টে নির্বাচন।ফুটবলের সর্বোচ্চ চেয়ার, ফিফা প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য অনেকেই ইতোমধ্যে নিজেদের প্রার্থীতার কথা ঘোষণা করেছেন। আবার অনেকেই ভাবছেন নির্বাচনে লড়বেন কিনা।

তবে নির্বাচনে যে কয়েকজন মাঠ গরম করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে তাদের মধ্যে মিশেল প্লাতিনি- জিকো-ম্যারাডোনা  অন্যতম।

জানা গেছে, বুধবারই আনুষ্ঠানিকভাবে প্লাতিনি ঘোষণা করে দিলেন, ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন। রিও ডি জেনিরো থেকে তখনই খবর এল, নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন সিবিএফের দ্বারস্থ হলেন জিকো। তাকে যেন সমর্থন করা হয়, এই দাবি তুলে। বুয়েনস আয়ার্সে ম্যারাডোনার ঘোষণার স্টাইল অবশ্যই অন্যরকম হতে বাধ্য। ম্যারাডোনা ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করেছেন। সেখানেই তার নাটকীয় ঘোষণা, আমি ফিফা নির্বাচনে দাঁড়াব। প্লাতিনি ফিফার ২০৯ দেশের প্রেসিডেন্ট ও সচিবকে এটাও লিখে দিয়েছেন, গত পঞ্চাশ বছরে আমরা দুইজন প্রেসিডেন্ট পেয়েছি ফিফায়। ফুটবলে ব্যাপক বদল হলেও ফিফায় স্থায়িত্ব এসেছে। তবে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ফিফাকে বাধ্য করেছে নতুন এক অধ্যায় তৈরি করতে। আমি নিজেকে সেই প্রার্থী হিসেবে দেখছি।

ম্যারাডোনা ফেসবুকে বক্তৃতা আপলোড করেছেন নিজের মোবাইলে ছবি তুলে। তার মন্তব্য, আমি সব আর্জেন্টাইনদের বলছি, আমি শক্তিশালী। অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফিফার জন্যই কাজে ফিরব।

জিকো আবার ব্রাজিলিয়ানদের সহানুভূতি আদায় করতে চেয়েছেন। বক্তব্য দিয়েছেন এভাবে, আমি এক ব্রাজিলিয়ান। ব্রাজিলের জন্য ১০ বছর লড়েছি। আমি ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিয়েছি। উনি যদি উত্তর না দেন, বেশি অপেক্ষা করব না। অন্য রাস্তা দেখতে হবে। ফুটবলের সাবেক এই তিন গ্রেট পরস্পরের বিপক্ষে দাঁড়ালেও এদের মধ্যে  এগিয়ে প্লাতিনি। ইতিমধ্যেই ছয়টি মহাদেশের চারটি মহাদেশ প্লাতিনির পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছে।সেখানে সর্বমোট ভোট ১৪৪টি। সব ভোট না পেলেও প্লাতিনি জিতে যেতে পারেন বলে ধারণা করছে ফুটবল বোদ্ধারা।

এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।