দিন শেষে চাপে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ৩০ জুলাই ২০১৫

চা বিরতির পর তৃতীয় সেশনে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে প্রথম দিনটি নিজেদের করে নিতে পারল না বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে  স্বাগতিকদের সংগ্রহ আট উইকেটে ২৪৬ রান। নাসির হোসেন ১৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে শুরুতেই তামিম ইকবালের দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ। তামিমের আউটে যতনা কীর্তি ডেল স্টেইনের তার চেয়ে বেশি কীর্তি তামিম ইকবালের। অফ স্ট্যাম্পের অনেক বাইরের বল খেলতে গিয়ে স্লিপে হাসিম আমলার হাতে ধরা পড়েন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। মাত্র ৬ রান করে ফিরে যান তামিম।

তামিমের বিদায়ের পর ইমরুল কায়েস এবং মমিনুল হকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নেয় টাইগাররা। শুরুর ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে এই দুই ব্যাটসম্যানের ৬৯ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

লাঞ্চ বিরতির সময় দু’দফা গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিতে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরুতে ১০ মিনিট দেরি হয়। বিরতির পর বাংলাদেশ শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন প্রোটিয়া অলরাউন্ডার জেপি ডুমিনি। দেশসেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান মমিনুলকে আউট করার পর ফেরান আরেক সেট ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসকে।

৩২তম ওভারের অফস্ট্যাম্পের সামান্য বাইরের বল কাট করতে গেলে কিপারের হাতে ধরা পড়েন মমিনুল। আউট হবার আগে ৮৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। ডুমিনির করা পরের ওভারেই প্রথম বলেই এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওপেনার ইমরুল কায়েসকে। ৯৩ বলে ৩টি চারে ৩০ রান করেন এই ওপেনার।

দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দ্রুত দুইউইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বাংলাদেশকে মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহর দুর্দান্ত ব্যাটিং স্বস্তি এনে দেয়। এই দুই দেশসেরা ব্যাটসম্যানের জুটির ৯৪ রানের জুটিতে আবার ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ।

তবে চা বিরতির পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। চা বিরতির পর অষ্টম ওভারে স্টেইনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। ৬৪তম ওভারের চতুর্থ বলে ফ্লিক করতে গেলে ব্যাটের পেছনের কানায় লেগে শর্ট মিড উইকেটে বাভুমার হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। আউট হবার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯১ বলে ৩৫ রান।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়ের পর সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে ৭৫তম ওভারের প্রথম বলে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে ফেরান প্রোটিয়াদের পার্টটাইম বোলার এলগার। এলগারের বল মুশফিকের ব্যাটের পাশ দিয়ে ছলে গেলে আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মুশফিক রিভিউ নিলে অনেকক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে শেষ পর্যন্ত নিজদের রায় বহাল রাখেন আম্পায়ার। অথচ টিভি ক্যামেরায় বুঝা গিয়েছিলো বল ব্যাটে লাগেনি। হটস্পট টেকনোলজির অভাবে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান একটি দারুণ ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে। আউট হবার আগে ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১২৫ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৬৫ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। ১১ ইনিংস পর হাফসেঞ্চুরির দেখা পান দেশসেরা এই ব্যাটসম্যান।

মুশফিকের বিদায়ের পর ডুমিনির বলে মিড উইকেটে এলগারের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে ফিরে গেছেন চট্টগ্রাম টেস্টে অর্ধশত করা লিটন দাস। লিটনের আউটের পর নাসির হোসেনকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে সাকিব আল হাসান। তবে খেলা শেষ হবার দুই ওভার আগে মরনে মরকেলের উঁচু হওয়া বল ব্যাটের কানায় লেগে গ্যালিতে চলে যায়। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন এলগার। ৬৫ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৫ রান করেন সাকিব। এরপরের ওভারে স্টেইনের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন মুহাম্মদ শহিদ।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে জেপি ডুমিনি এবং ডেল স্টেইন তিনটি করে উইকেট পান। অপর উইকেট দুটি পান মরনে মরকেল এবং ডিন এলগার।


আরতি/এমআর/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।