চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিবর্তে পরপর দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮:৩৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল ২০১৮

জনপ্রিয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে জাদুঘরে পাঠিয়ে দিল আইসিসি। কলকাতায় চলমান আইসিসি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যে সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে বাদই দিয়ে দেয়া হলো। ২০২১ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি। যেটির আয়োজক ভারত।

এমনিতেই ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি, অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যার আয়োজক দেশ অস্ট্রেলিয়া। এরপরের বছরই ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ওয়ানডে ফরম্যাটের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি; কিন্তু হঠাৎ করেই আইসিসি বোর্ড সিদ্ধান্ত নিল, আর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নয়, পরিবর্তে আয়োজন করা হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এর অর্থ, টানা দুই বছরে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখতে পাচ্ছে ক্রিকেট ভক্তরা। ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক হচ্ছে ভারত।

টানা দুই বছরে দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপছাড়াও ক্রিকেটভক্তরা টানা তিন বছরে তিনটি বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। ২০১৯ সালে যে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ! অর্থাৎ, ২০১৯, ২০২০ এবং ২০২১- এই তিন বছরে একটি ওয়ানডে এবং দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজন করতে যাচ্ছে আইসিসি।

আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এসব তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, ‘আইসিসির সদস্যরা ২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম নিয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। যেখানে একটি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ এবং অতিরিক্ত একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটি আয়োজন করা হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরিবর্তে।’

টি-টোয়েন্টি দিয়েই ক্রিকেটের বিশ্বায়নে নজর দিয়েছে আইসিসি। এ কারণেই ৮ দলের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চেয়ে ১৬ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনকেই সবচেয়ে বেশি যুক্তিযুক্ত বলে মনে করছে আইসিসি। বিশ্ব ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি বলছে, ‘এই সিদ্ধান্তের ফলে ১৬টি দলের বিশ্ব পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাচ্ছে। এর ফলে উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক পর্যায়ে দুই বছর ধরে চলা বাছাই পর্বের যে প্রক্রিয়া চলমান থাকবে, তাতে করে প্রতিটি দেশ বেশি বেশি করে ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবে।’

এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টানা দুই বছর আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের পর ২০১০ সালেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের এই বিশ্বকাপ। আর বারবার মৃত্যু ঘোষণা করা হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির। ২০০৯ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের পর ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, ২০১৩ সালের আসরই হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শেষ আসর। এরপর আর এই টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে না। তবে, শেষ পর্যন্ত আইসিসি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছিল এবং ২০১৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করে এবং যেখানে সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ।

কলকাতায় অনুষ্ঠিত সভায় টি-টোয়েন্টিকে সারা বিশ্বের সামনেই উন্মুক্ত করে দিয়েছে আইসিসি। সংস্থাটির অধিভুক্ত মোট ১০৪টি দেশকেই টি-টোয়েন্টি মর্যাদায় আসীন করে নেয়া হয়েছে। এরফলে, আইসিসি মনে করছে, ক্রিকেটের বিশ্বায়ন ঘটবে।

আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা সবাই এই খেলাটিকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চাই। আর সেটি করতে টি-টোয়েন্টিই হবে আমাদের বাহন।’ সুতরাং, আইসিসির ন্যূনতম শর্তগুলো পূরণ করলে বিশ্বের যে কোনো দেশ এখন টি-টোয়েন্টি খেলতে পারবে। আর সেই ম্যাচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মর্যাদাও পাবে।

আইএইচএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।