চৌকিদার ময়না রাজনকে চোর সাজায় : আয়াজের স্বীকারোক্তি


প্রকাশিত: ১২:১৮ পিএম, ২৮ জুলাই ২০১৫
ফাইল ছবি

সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত আয়াজ আলী ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সিলেট মহানগর হাকিম আদালত এমএম-১ এর বিচারক সাহেদুল করিমের খাস কামরায় জবানবন্দি দেয় আয়াজ আলী।

আয়াজের জবানবন্দির বরাত দিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার জানান, আদালতে আয়াজ জানিয়েছে, শিশু রাজন চোর ছিল না। সিলেট শহরতলির কুমারগাঁওয়ে যেখানে রাজনকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সেখানে একটি গ্যারেজে রাখা ভ্যান নিয়ে আরো কয়েকটি শিশুর সঙ্গে খেলা করছিল রাজন।

গ্যারেজের চৌকিদার ময়না মিয়া রাজনকে ধরে চোর সাজায়। তিনি রাজনকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে বাঁধেন। এ সময় আয়াজ `খেলার ছলে` রাজনকে বাঁধতে সাহায্য করে বলে আদালতে জবানবন্দিতে জানিয়েছেন।

সুরঞ্জিত তালুকদার আরো জানান, আদালতে আয়াজ নিজে রাজনকে মারধর করেনি, তবে ময়না, কামরুলসহ অন্যরা মারধর করেছে বলে জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই বুধবার শহরতলীর কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের আগে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে তোলপাড় শুরু হয় বিশ্বব্যাপী। কেবল স্থানীয় কিংবা জাতীয় নয় ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশ হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশ-বিদেশের লোকজন।

রাজন হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীসহ ১২ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আট জন জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া রাজন হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের বাঁচানোর চেষ্টাসহ নানা অভিযোগে পুলিশের এক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ও দুই উপ-পরিদর্শককে (এসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।