কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫ মরদেহ উদ্ধার


প্রকাশিত: ১০:২১ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৫

কক্সবাজারে পাহাড় ধসের ঘটনায় নিখোঁজ অবশিষ্ট ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে হিলটপ সার্কিট হাউস সংলগ্ন রাড়ার স্টেশন পাহাড়ের একাংশ ধসের ঘটনায় মাটিচাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করলেন মোট ৫ জন। দুপুরে ধ্বংসস্তুপের মাটি সরিয়ে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

দুপুরে উদ্ধার করা নিহতরা হলেন, মৃত ইসলাম মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৪৫), তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম (২৮) ও মৃত জাফর আলমের মেয়ে রিনা আকতার (১৬)।

সকালে উদ্ধার করা হয় ব্যবসায়ী খায়রুল আমিনের স্ত্রী লুৎফুন নাহার জুনু (২৫) ও মেয়ে নীহা মনির (৬)। পাহাড় ধসের ঘটনায় কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী, সেনাবাহিনী ও পুলিশ উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কক্সবাজার ইনচার্জ আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে জানান, রাড়ার স্টেশন পাহাড়ের একাংশ গাছসহ ধসে পড়া মাটির স্তুপ সরিয়ে সর্বমোট ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দমকল বাহিনী, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও পুলিশসহ প্রশাসনের লোকজন উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছে।  

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বলেন, উদ্ধার তৎপরতা নির্বিঘ্ন করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।  



কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও উন্নয়ন) ড. অনুপম সাহা জাগো নিউজকে বলেন, জেলা প্রশাসন ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারিদের সরিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে। খোলা হয়েছে আশ্রয় কেন্দ্র। তিনি আরো জানান, ভারি বর্ষণে রোববার রাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে আরো পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে ওসবের মধ্যে হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও শহরের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

উল্লে­খ্য, জিওলজিক্যাল সার্ভে অব বাংলাদেশ এক বিবণরীতে সম্প্রতি প্রচার করে প্রবল বর্ষণে কক্সবাজার, টেকনাফ ও চট্টগ্রামে যেকোনো সময় ভূমিধস হতে পারে।

এ খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্ব একটি টিম তাদের নিরাপদে সরে যেতে অনুরোধ করে আসেন।

# কক্সবাজারে পাহাড় ধস : সন্ধান মেলেনি আরো ৩ জনের
# কক্সবাজারে পাহাড় ধসে বেশ কয়েকটি বাড়ি চাপা পড়েছে

সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।