না.গঞ্জের ৬ কিশোরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
সুন্দরভাবে বাঁচার আশায় নতুন জীবনের স্বপ্নে বিভোর হয়ে জীবিকার জন্য অবৈধ পথে সমুদ্র পথে পাড়ি দিতে গিয়ে নির্মমতার শিকার হয়ে মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছেন দেশের বহু মানুষ। তবে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত এবং মিয়ানমার থেকে উদ্ধারকৃত নারায়ণঞ্জের রূপগঞ্জ ও আড়াই হাজার উপজেলার ছয়জন কিশোর জীবিত ফিরে এসেছে।
এদিকে মৃত্যুকূপ থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরদের ফিরে পেয়ে পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। আর তাদেরকে বাবা-মা কাছে পেয়ে আনন্দের কান্নায় ভেসেছেন।
মৃত্যুকূপ থেকে উদ্ধার হওয়া ছয়জন হলো, আড়াইহাজার উপজেলার আব্দুর বারেকের ছেলে মো. শরীফ (১৭), একই এলাকার নুরু মিয়ার ছেলে মো. মোশারফ (১৭), মনির হোসেনের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (১৬), আব্দুর করিমের ছেলে মো. জাহিদুল করিম (১৪), রূপগঞ্জ উপজেলার এমারত ইসরাতের ছেলে মো. হৃদয় ভূইয়া (১৬) একই এলাকার হিরণ মিয়ার ছেলে মো. রবিন মিয়া (১৭)।
নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের যুব প্রধান মো. হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ ইউনিট কার্যালয় হতে বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত এবং মিয়ানমার থেকে উদ্ধারকৃত নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার উপজেরার ছয়জন কিশোর বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ট্রেসিং বিভাগের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ জেলার রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কর্মকর্তা ও যুব সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতায় তাদের অভিভাবকের হস্তান্তর করা হয়।
গত ২৯ মে মায়ানমারের জলসীমা থেকে সে দেশের নৌবাহিনী ৭২৭ জন অভিবাসীকে ভাসমান অবস্থায উদ্ধার করে। ২২ জুলাই তাদের মধ্যে থেকে ১৬০ জন বাংলাদেশি ফেরত আনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরপর তাদের কক্সবাজার জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ ওই দিন সন্ধ্যায় তাদের কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ২৩ জুলাই ১৬০ জন বাংলাদেশির মধ্য থেকে আদালতের নির্দেশে ৯ কিশোরকে রেড ক্রিসেন্টের সহায়তায় নিজ বাড়িতে পাঠানো হয়। অপর ১৫১ জনকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। ওইনেয় কিশোরের মধ্যে ছয়জনের বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।
মো.শাহাদাৎ হোসেন/এমজেড/আরআই