ঈশ্বরদীতে ৪০ লাখ টাকার পাম্পের হদিস মিলছে না


প্রকাশিত: ০৯:৪২ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৫

ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উদ্যোগে ৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সুপেয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। তবে ৯৮টি তারা পাম্পের কোনো হদিস নেই। এগুলোর দাম প্রায় চল্লিশ লাখ টাকা।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মাহবুব ইসলাম ৯৮টি তারা পাম্পের কথা স্বীকার করেন। এসময় তিনি বলেন, ঈশ্বরদী পৌর এলাকার মৌবাড়ি বাসটার্মিনাল, নাজিমউদ্দিন স্কুলের পাশে ও স্টেডিয়াম এলাকায় সাবমার্সিবল সিস্টেমের ডিপ টিউবওয়েল বসানো হবে। এতে পানি সরবরাহের গতি বাড়বে, সহজেই পৌরবাসী পানি পাবেন। একই সঙ্গে মোট ২০ কি.মি. পাইপ লাইন বসানো হবে। ইতোমধ্যে ৪টি ডিপটিউবয়েল বসানো হয়েছে। তবে এগুলোতে এখনো পানি সরবরাহ শুরু হয়নি।

২০১৪-১৫ বছরে ১৮টি তারা টিউবয়েল বসানো হয়েছে। এরমধ্যে পাকশী ইউনিয়নে তিনটি, সাঁড়ায় তিনটি, মুলাডুলিতে পাঁচটি, দাশুড়িয়ায় একটি, ছলিমপুরে একটি, সাাহাপুরে একটি ও লক্ষ্মীকুণ্ডায় চারটি রয়েছে। এগুলোর প্রতিটির জন্য সহায়ক চাঁদা হিসেবে ১৫শ টাকা করে জমা দিতে হয়।

ঈশ্বরদী উপজেলায় এ যাবৎ বসানো ১৩৩৬টি তারা টিউবওয়েলের মধ্যে ৯৮টি অকেজো পড়ে আছে। এগুলোর বেশিরভাগের যন্ত্রপাতি হারিয়ে গেছে। ফলে এই পাম্পগুলো আর সচল করা সম্ভব নয়। একটি সূত্রে জানা গেছে, অফিসের গাফিলতির কারণে নষ্টের শুরুতেই মেরামত না করায় দামি এসব পাম্প পরবর্তীতে স্থায়ীভাবেই অচল হয়ে গেছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস জানায়, পানি সরবরাহের জন্য আরো ২৫টি তারা পাম্প বসানোর পাশাপাশি পাঁচটি পাবলিক টয়লেটও নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি তারা পাম্পে ৩২ হাজার টাকা করে খরচ পড়ে। এই কাজগুলো সম্পন্ন হলে ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় খাবার পানির কোন সঙ্কট থাকবে না। আগামি ছয় মাসের মধ্যে এসব কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এমজেড/এমআরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।