বরিশালে যুবক খুনের ঘটনায় শওকত ৭ দিনের রিমান্ডে
বরিশাল নগরীর অভিজাত হোটেল এরিনা (প্রাঃ) লিমিটেডের ৫ম তলার ৫০৭ নম্বর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ থেকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামির সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ঘটনায় কাঁচ ভেঙে নীচের রাস্তায় পড়ে এক যুবক নিহত হওয়ার মামলায় নিহতের বন্ধু শওকতকে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলাম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শওকতকে সোপর্দ করে হত্যার রহস্য উদঘাটনের স্বার্থে সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন ।
রোববার রাতে নগরীর অভিজাত হোটেল এরিনা (প্রাঃ) লিমিটেডের ৫ম তলার ৫০৭ নম্বর কক্ষ থেকে নিচে পড়ে ইমরান হোসেন সুমন (৩৫) নিহত হন। নিহত সুমন ফিশারি সড়কের মৃত আলতাফ সিকদারের ছেলে। ঘটনার পর সুমনের বন্ধু শওকতকে আটক করে পুলিশ। আটক শওকত নগরীর বগুড়া সড়কের বাসিন্দা।
তদন্ত কর্মকর্তা কোতয়ালী মডেল থানার (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে জানান, কেন এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে এবং কয়জন এতে অংশ নিয়েছেন এসব তথ্য বের করতে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় হোটেল কক্ষে ওই দিন বিভিন্ন সময় আড্ডা দেয়া নিহত সুমনের বন্ধুদের সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে। রিমান্ডের পর এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওসি।
এরিনা হোটেলে রাতের ইনচার্জ মো. মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, গত রোববার দুপুরে নগরীর কাশীপুর ফিশারি রোডের ইমরান হোসেন এরিনা হোটেলের ৫০৭ নম্বর ডিলাক্স কক্ষ ভাড়া নেন। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক বন্ধু শওকত। ওই দিন তাদের আরো কয়েক বন্ধু হোটেল কক্ষে যাওয়া আসা করেন এবং তাস-জুয়া খেলেন। রাতে তারা মদ পান করেন। রাত আড়াইটার দিকে কাঁচ ভাঙার বিকট আওয়াজ হয়। এসময় নীচের রাস্তায় কিছু পড়ে যাওয়ার শব্দ পেয়ে হোটেলের পাশে রাস্তায় গিয়ে এক ব্যক্তিকে রক্তাত্ম অবস্থায় ছটফট করতে দেখেন হোটেলের লোকজন এবং টহল পুলিশ। পরে তাকে উদ্ধার করে শেরেবাংলা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভোর ৪টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে, ঘটনার পরপরই পুলিশ হোটেলের ৫০৭ নম্বর কক্ষ তল্লাশি করে একটি মদের বোতল, তাস এবং কিছু নগদ টাকা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন নিহত যুবক সুমনের বড় ভাই আবদুুল্লাহ মো. ঈশা। মামলায় ঘটনার পর আটক সুমনের বন্ধু শওকতকে প্রধান এবং অজ্ঞাতনামা ৮/৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সাইফ আমীন/এমজেড/এমআরআই