আগস্টের মধ্যে গ্যাস সংযোগের দাবি শিল্প মালিকদের
চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত বিদ্যুত গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদনে যেতে পারছে না। এ কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকের অর্থায়ন ঝুঁকির মুখে পড়ছে। বিনিয়োগ উৎসাহ এবং চলমান উৎপাদন প্র্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখার স্বার্থে ডিমান্ড নোটের বিপরীতে চলতি বছরের আগস্টের মধ্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়াসহ সরকারকে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে ‘বর্তমান শিল্পায়নে সম্ভাবনা ও বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক’ সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ এসব দাবি জানান।
এফবিসিসিআই’র প্রস্তাবগুলো হল- যে সকল ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে ডিমান্ড নোট জারি করা হয়েছে সে সকল ইন্ডাস্ট্রিতে আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা, স্থানান্তরিত কারখানায় পূর্বের অনুমোদন অনুযায়ী সরাসরি বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ প্রদান, গ্যাস চালিত জেনারেটরের মাধ্যমে নিজস্বভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে পরিচালিত কারখানায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার আগ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ প্রদান করা।
এক প্রশ্নের জবাবে মাতলুব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে সাম্প্রতিক বৈঠকে আমরা জানিয়েছি যে, যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে বিনিয়োগ করেছে তাদের আগে সংযোগ দেয়া হোক। কিন্তু নতুনভাবে গ্যাস ভিত্তিক শিল্প স্থাপন করতে আমরা কাউকে উৎসাহিত করবো না। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে আমরা বিদ্যুৎ নির্ভর শিল্প কারখানা স্থাপন করতে সরকারের সহযোগিতা চাই।
তিনি জানান, সরকার চাইলে বন্ধ হয়ে যাওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) ভিত্তিতে চালু করতে বিনিয়োগে ব্যবসায়ীরা রাজি আছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ জানান, ৭০ থেকে ৮০টি প্রতিষ্ঠানকে ডিমান্ড নোট ইস্যু করা হলেও মাত্র ৮ থেকে ১০ টি কারখানা গ্যাস সংযোগ পেয়েছে। বাকিগুলো এখনো পায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন, বর্তমান সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, ইন্টারন্যাশনাল চেম্বারেরর সভাপতি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
এসআই/এসএইচএস/আরআই