প্রথম সেশন পর্যন্ত বাংলাদেশ ৮০/২


প্রকাশিত: ০৫:৪৬ এএম, ২২ জুলাই ২০১৫

প্রথম টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসের প্রথম সেশন পর্যন্ত ২ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইমরুল কায়েসের পর সাজঘরে ফিরে গেছেন মুমিনুল হক। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮০ রান।

এর আগে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনেই ব্যাট করছে টাইগার দুই ওপেনার তামিম-ইমরুল। কিন্তু ফন জিলের বল মিস করে স্টাম্পিং এর ফাঁদে পড়েন ইমরুল। আর মুমিনুলকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ফন জিল।
 
এর আগে মঙ্গলবার মুস্তাফিজুর রহমান এবং জুবায়ের হোসেনের বোলিং তোপে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ একটু এলোমেলো থাকলেও দ্বিতীয় সেশন থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। ২৪৮ রানেই গুটিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিধর দলকে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ভালো সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্টিয়ান ফন জিল এবং ডিন এগলার। অর্ধশত পার করা এই জুটি ভাঙ্গেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদউল্লাহর বলে জিল ফ্লিক করতে গেলে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন লিটন দাস। ফিরে যাওয়ার আগে প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান করেন ৩৪ রান।

এরপর ডু প্লেসি এবং ডিন এগলার স্বাগতিক বোলারদের দেখেশুনে ব্যাট করে প্রথম সেশনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে লাঞ্চের পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এলগার-ডু প্লেসির ৮৮রানের জুটিকে ভাঙ্গেন তাইজুল ইসলাম। উইকেটরক্ষন লিটন দাসের হাতে ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান ডিন এগলারকে। ১১১ বলে ৩টি চারে ৪৭ রান করেন এই ওপেনার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরলে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

পরের ওভারেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডু প্লেসিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। তার নিচু হওয়া বলে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চাইলেও ব্যাট লাগাতে পারেননি ডু প্লেসি। তবে আউট হবার আগে ১২২ বলে ৫টি চারে ৪৮ রান করেন তিনি।

এরপর শুরু হয় মুস্তাফিজ ম্যাজিক। অভিষেক ম্যাচেই আমলা-ডুমিনিদের মত ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে ওয়ানডের মত টেস্টেও নিজের জাত চিনিয়েছেন টাইগার এই বোলার। তৃতীয় সেশনের শুরুতে বল করতে এসে প্রোটিয়াদের স্কোর বোর্ড ১৭৩/৩ থেকে ১৭৩/৬ এ নিয়ে যান মুস্তাফিজ। ৬০তম ওভারের প্রথম দুই বলেই ফেরান আমলা এবং ডুমিনিকে। আমলা উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ধরা পড়েন এবং ডুমিনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ। হ্যাট্রিকের সুযোগ পাওয়া মুস্তাফিজের পর বল কোন মতে ফেরান ডি কক। কিন্তু পরের বলেই পরিস্কার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

অভিষেকে মুস্তাফিজের বোলিং তোপের পর জুবায়েরের ঘূর্ণিতে পড়ে প্রোটিয়া শিবির। জুবায়েরের করা ৭১তম ওভারে বল কানায় লেগে স্লিপে সাকিব আল হাসানের হাতে ধরা পড়েন ফিলান্ডার। এরপর ৮০তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন জুবায়ের। হারমারকে মুমিনুলের হাতে এবং স্টেইনকে তামিমের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন এই তরুণ তুর্কি।

তবে দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে একপ্রান্তে সাবলীল খেলতে থাকা বাভুবাকে ফেরান মুস্তাফিজ। মিড উইকেটে জুবায়ের হাতে ক্যাচে পরিণত করলে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া জুবায়ের হোসেন পান ৩টি উইকেট।

এমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।