প্রথম দিনটা বাংলাদেশের


প্রকাশিত: ১১:০৭ এএম, ২১ জুলাই ২০১৫

মুস্তাফিজুর রহমান এবং জুবায়ের হোসেনের বোলিং তোপে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশকে একটু এলোমেলো থাকলেও দ্বিতীয় সেশন থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে টাইগার বোলাররা। ফলে ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার মত শক্তিধর দলের প্রথম ইনিংস।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ কোন উইকেট না হারিয়ে ৭ রান করে। বুধাবার সকালে আবার ব্যাট করতে নামবেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (১) এবং ইমরুল কায়েস (৫)।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের ভালো সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান স্টিয়ান ফন জিল এবং ডিন এগলার। অর্ধশত পাড় করা এই জুটি ভাঙ্গেন  মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাহমুদউল্লাহর বলে জিল ফ্লিক করতে গেলে দুর্দান্ত ক্যাচ লুফে নেন লিটন দাস। ফিরে যাওয়ার আগে প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান করেন ৩৪ রান।

এরপর ডু প্লেসি এবং ডিন এগলার স্বাগতিক বোলারদের দেখেশুনে ব্যাট করে প্রথম সেশনটি পুরোপুরি নিজেদের করে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে লাঞ্চের পর ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এলগার-ডু প্লেসির ৮৮রানের জুটিকে ভাঙ্গেন তাইজুল ইসলাম। উইকেটরক্ষন লিটন দাসের হাতে ক্যাচে পরিণত করে সাজঘরে ফেরান ডিন এগলারকে। ১১১ বলে ৩টি চারে ৪৭ রান করেন এই ওপেনার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পরলে দক্ষিণ আফ্রিকা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

পরের ওভারেই দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডু প্লেসিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। তার  নিচু হয়া বলে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চাইলেও ব্যাট লাগাতে পারেননি ডু প্লেসি। তবে আউট হবার আগে ১২২ বলে ৫টি চারে ৪৮ রান করেন তিনি।

এরপর শুরু হয় মুস্তাফিজ ম্যাজিক। অভিষেক ম্যাচেই আমলা-ডুমিনিদের মত ব্যাটসম্যানদের ফিরিয়ে ওয়ানডের মত টেস্টেও নিজের জাত চিনিয়েছেন টাইগার এই বোলার। তৃতীয় সেশনের শুরুতে বল করতে এসে প্রোটিয়াদের স্কোর বোর্ড ১৭৩/৩ থেকে ১৭৩/৬ এ নিয়ে যান মুস্তাফিজ। ৬০তম ওভারের প্রথম দুই বলেই ফেরান আমলা এবং ডুমিনিকে। আমলা উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ধরা পড়েন এবং ডুমিনিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মুস্তাফিজ। হ্যাট্রিকের সুযোগ পাওয়া মুস্তাফিজের পর বল কোন মতে ফেরান ডি কক। কিন্তু পরের বলেই পরিস্কার বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান।

অভিষেকে মুস্তাফিজের বোলিং তোপের পর জুবায়েরের ঘূর্ণিতে পড়ে প্রোটিয়া শিবির। জুবায়েরের করা ৭১তম ওভারে বল কানায় লেগে স্লিপে সাকিব আল হাসানের হাতে ধরা পড়েন ফিলান্ডার। এরপর ৮০তম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন জুবায়ের। হারমারকে মুমিনুলের হাতে এবং স্টেইনকে তামিমের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন এই তরুণ তুর্কি।

তবে দিনের শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে একপ্রান্তে সাবলীল খেলতে থাকা বাভুবাকে ফেরান মুস্তাফিজ। মিড উইকেটে জুবায়ের হাতে ক্যাচে পরিণত করলে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। আউট হওয়ার আগে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন প্রোটিয়া এই ব্যাটসম্যান। ১০৮ বলে ৫টি চারে ৫৪ রান করেন তিনি।

বাংলাদেশের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান। এছাড়া জুবায়ের হোসেন পান ৩টি উইকেট।

আরটি/এমআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।