জাল টাকা তৈরিতে সক্রিয় ১৫ চক্র


প্রকাশিত: ০৮:৪১ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৫

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পূর্ব বিভাগ) উপকমিশনার মো. মাহবুব আলম বলেছেন, রাজধানীতে ঈদ উপলক্ষে জাল টাকা তৈরি করতে ১৫টি চক্র সক্রিয় রয়েছে।
 
জাল টাকা চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতারের পর মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ  সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মাহবুব আলম বলেন, গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলামের নির্দেশনায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৩২ ভরি সোনা ও ৮ ভরি রুপাসহ রফিকুল ইসলাম নামের এক ডাকাত ও ২ লাখ ৭৮ হাজার জাল টাকাসহ এ চক্রের ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আলাউদ্দিন, মো. ইউনুস মিয়া, মো. আলতাফ হোসেন, মো. রঞ্জু, মো. বাদল হোসেন, মো. মিল্টন শেখ এবং ইউসুফ আলী হাওলাদার।

সংবাদ সম্মেলনে মাহবুব আলম বলেন, পবিত্র ঈদ উপলক্ষে রাজধানীতে জাল টাকা উৎপাদন ও বিক্রির সঙ্গে ১৫টি চক্র সক্রিয় রয়েছে। সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলিস্তানের নাট্যমঞ্চ এলাকা থেকে জাল টাকা লেনদেনের সময় জাল টাকা চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

মাহবুব আলম আরো বলেন, সোমবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা এলাকায় সতীশ সরকার রোডে পৃথক আরেকটি অভিযান চালিয়ে সোনা-রুপাসহ রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।

এসময় তার কাছ থেকে ১টি চাপাতি, ১টি চাকু, ১টি হাতুরি, ১টি লোহা কাটার হেক্সা ব্লেড, ১টি পাইপ রেঞ্জ, ১টি স্টার স্ক্রু ড্রাইভার, ৫৯ টি সোনার চেইন, ৪টি সোনার চুরি, ২টি সোনার গলার হার, ৪টি ব্রেসলেট, ১৭টি সোনার আংটি, ৪টি নাকফুল, ২৩টি কানের দুল, ১৩টি লকেট, ১টি রুপার নুপুর, ১টি টিকলি এবং ইমিটেশনের বিভিন্ন গহনা উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য আনুমানিক ১১লাখ ৫০হাজার টাকা।

জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল রাজধানীর বিভিন্ন বাসা ও সোনার দোকানে ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
 
জেইউ/এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।